Sat. May 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

1খোলা বাজার২৪,বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৫: বাড়ি, গাড়ি, প্রতিষ্ঠানে পতপত করে উড়ছে লাল-সবুজের পতাকা। মানুষের মাথায় পতাকার রঙের ফিতা। গায়ে পতাকার রঙের পোশাক। পতাকায় সজ্জিত রাজধানীসহ দেশের বড় শহরগুলোর প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপ। সবার মনে বিপুল আনন্দ। দেশজুড়ে উৎসব। আজ ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। বাংলাদেশের সবচেয়ে আনন্দের, বড় প্রাপ্তির দিন।

নয় মাসের সংগ্রাম আর রক্তের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বহু আকাক্সিক্ষত এই দিনটি এসেছিল। ঢাকার ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ৪৪ বছর আগের এই দিনে বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী হাতের অস্ত্র ফেলে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়েছিল বিজয়ী বীর বাঙালির সামনে।

যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জাতি পালন করছে মহান বিজয় দিবস।

ঢাকায় ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হয়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। এরপর সর্বসাধারণের জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।

বরাবরের মতো এবারও মহান বিজয় দিবস পালনের বিস্তারিত কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

সরকারি এক তথ্যবিবরণীতে বলা হয়েছে, বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ সকাল ১০টায় বিজয় দিবস কুচকাওয়াজ হবে। এতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ ভোরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধদলীয় নেতা রওশন এরশাদ এবং বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া পৃথক বাণী দিয়েছেন।

আজ সরকারি ছুটি। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাতে গুরুত্বপূর্ণ ভবনে করা হবে আলোকসজ্জা। হাসপাতাল, শিশুসদন ও কারাগারগুলোতে পরিবেশন করা হবে বিশেষ খাবার।

বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে রাজধানীসহ সারা দেশে বিজয় শোভাযাত্রাসহ নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

বিএনপি ঢাকায় বিজয় শোভাযাত্রা করবে। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি, সিপিবিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেও নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ, দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত এই বিজয়ের দিনটিতে আনন্দের পাশাপাশি বেদনাও বাজছে বাঙালির বুকে। বিনম্র শ্রদ্ধা ও গভীর কৃতজ্ঞতায় জাতি স্মরণ করবে জানা-অজানা সেই সব শহীদকে, যাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে এসেছে এই স্বাধীনতা।