খোলা বাজার২৪,বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৫: কেউ কখনো তাকে কিছু হাতে তুলে দেয়নি। এই জীবনে যা কিছু পেয়েছেন তার সবটাই অর্জন করে নিতে হয়েছে। তেমনই আরো একটি অর্জনের পেছনে ছুটছেন লুই সুয়ারেজ। নিজের সবটা দিয়ে লড়ে থাকেন তিনি। লড়বেন জাপানের ক্লাব বিশ্বকাপেও।
বার্সেলোনাকে বিশ্বের সেরা ক্লাবের শিরোপাটা পাইয়ে দিয়ে নিজেও মাততে চান আরেকটি অর্জনের উৎসবে। ২০১৪ সালের জুলাইয়ে বার্সেলোনায় যোগ দিয়েছেন সুয়ারেস। উরুগুয়ের এই ফরোয়ার্ডকে ইংলিশ ক্লাব লিভারপুল থেকে আনতে ৮০ মিলিয়ন ইউরোর বেশি খরচ করতে হয়েছে কাতালানদের। তারা প্রতিদানও পাচ্ছে। ২৮ বছরের সুয়ারেস স্পেনে বেশ ভালোই মানিয়ে নিয়েছেন। ৬৫ ম্যাচে ৪৪ গোল করেছেন। গতবার বার্সেলোনাকে জিতিয়েছেন ট্রেবল। ২০১৫-১৬ লা লিগা মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় দ্বিতীয় তিনি। এক নম্বরে ক্লাব সতীর্থ নেইমার। ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে বৃহস্পতিবার বার্সেলোনার প্রতিপক্ষ গুয়ানজু এভারগ্রান্ডে তাওবাও। এসব বাধা পেরিয়ে আরেকটি শিরোপার দিকে চোখ সুয়ারেসের, “চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা ছিল স্বপ্ন।
এখন চেষ্টা করতে হবে আরো ভালো কিছুর জন্য। আমি জিতে এগিয়ে যেতে চাই। চাই গুরুত্বপূর্ণ জিনিষগুলো।” এর সাথে সুয়ারেস বলেছেন, “আমার বিশ্বাস, প্রত্যেক খেলায় যে শ্রমটা আমি দেই তা লোকে খেয়াল করে। কেউ আমাকে কিছু উপহার দেয়নি। সবসময় নিজের সর্বোচ্চটা দেয়ার চেষ্টা করি।
সমর্থকরা জানে, বার্সার হয়ে খেলা আমার স্বপ্ন ছিল। এই জার্সিকে আমার পক্ষে যতোটা সম্ভব তার সবটাই দিতে চাই।” উরুগুয়ের ইতিহাসের সর্বকালের সেরা গোলদাতা সুয়ারেস। ক্লাবে লিওনেল মেসির সাথে জোট বেধে খেলেন। প্রতিপক্ষের ওপর চালান ধ্বংসযজ্ঞ। লাতিন আমেরিকার সতীর্থ আর্জেন্টিনার অধিনায়ক মেসির সাথে তার সম্পর্কটা কেমন? “বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়ের পাশে খেলাটাও ভাগ্যের ব্যাপার।” সুয়ারেস বলেছেন, “সে যাই করে তাই ভালো লাগে। একজন উরুগুইয়ান ও একজন আর্জেন্টাইনের রোজকার জীবন প্রায় একই রকম। তাই আমরা একসাথেই পান করি। একই সংস্কৃতি থেকে এসেছি আমরা। বয়সও এক। আমাদের অল্প বয়সের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলি। মাঠের বাইরেও আমরা সবসময় ভালো থাকি।”