Sun. May 4th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

14খোলা বাজার২৪,বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৫: উচ্চ প্রিমিয়াম, আর্থিক প্রতিবেদনে গরমিলসহ নানা অভিযোগ মাথায় নিয়ে পুঁজিবাজারে আসা রিজেন্ট টেক্সটাইল লেনদেন শুরুর দ্বিতীয় দিনে ক্রমাগত দর হারিয়ে ইস্যু মূল্যের নিচে নেমে এসেছে। মঙ্গলবার দিনশেষে দর হারানোর শীর্ষ অবস্থা দখল করেছে নতুন এ বস্ত্র খাতের কোম্পানিটি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মঙ্গলবার রিজেন্ট টেক্সটাইলের শেয়ারের লেনদেন শুরু হয় ২৫ টাকা ৫০ পয়সায় যা সর্বশেষ লেনদেনটি হয় ২৩ টাকা ১০ পয়সায়। সে হিসাবে সোমবার কোম্পানিটির শেয়ার মূল্য ২ টাকা ৪০ পয়সা বা ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ কমে দর পতনের শীর্ষে উঠে আসে। মঙ্গলবার দিনভর এ কোম্পানির শেয়ার দর ২২ টাকা ২০ পয়সা থেকে ২৫ টাকা ৮০ পয়সায় ওঠানামা করে। দিনশেষে এ কোম্পানির ৩৪ লাখ ৯২ হাজার ১৬৮টি শেয়ার মোট ২০ হাজার ৫০০ বার হাতবদল হয়।

এ প্রসঙ্গে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবু আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, যে মূল্যে কোম্পানিটি বাজারে এসেছে বিনিয়োগকারীরা তা গ্রহণ করেনি। তাই বাজারে আসার দ্বিতীয় দিন ইস্যু মূল্যের নিচে নেমে এসেছে। বিগত অনেক বছর পর এ ধরনের ঘটনা ঘটলো পুঁজিবাজারে। তবে এটা স্বাভাবিক যে বেশি মূল্যায়িত শেয়ার বাজারে আসলে বিনিয়োগকারীরা গ্রহণ করবে না। আর এর ফলে নিয়ন্ত্রক সংস্থাও একটি বার্তা পাবে যে বেশি প্রিমিয়াম দিয়ে আইপিও অনুমোদন দিলেই হবে না। বাজার যাচাই-বাছাইও করতে হবে।

এদিকে তালিকাভুক্ত নতুন কোম্পানির লেনদেন শুরুর প্রথম তিন দিন পর্যন্ত সার্কিট ব্রেকার থাকে না। যে কারণে বৃহস্পতিবারও সার্কিট ব্রেকারের বাইরে এ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হবে। এর ফলে এ কোম্পানির দর আরও কমে যেতে পারে, এমন আশঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছে বলেও মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

এর আগে গত ১৪ অক্টোবর (বুধবার) থেকে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করা রিজেন্ট টেক্সটাইলের লেনদেন শুরু হয় ১৪ ডিসেম্বর।

এদিকে বিএসইসি সূত্রে জানা যায়, রিজেন্ট টেক্সটাইল লিমিটেড পুঁজিবাজারে ৫ কোটি শেয়ার ছেড়ে আইপিওর মাধ্যমে ১২৫ কোটি টাকা উত্তোলন করে। এ জন্য ১০ টাকা ফেসভ্যালুর সঙ্গে ১৫ টাকা প্রিমিয়ামসহ প্রতিটি শেয়ারের নির্দেশক মূল্য নির্ধারণ করা হয় ২৫ টাকা।

বিএসইসির ৫৩৩তম কমিশন সভায় কোম্পানিটির আইপিও’র অনুমোদন দেয়া হয়। আইপিও ব্যবস্থাপনায় কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে ছিলো লংকা-বাংলা ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।