খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৫: ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের চিংড়ি প্রবেশের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) পার্লামেন্ট চলতি মাসের শুরুতে হিমায়িত চিংড়ি আমদানির উপর সতর্কতা তুলে নেয়ায় সেখানে চিংড়ি প্রবেশে আর বাধা থাকছে না। এর ফলে বাধ্যতামূলক পরীক্ষা ছাড়াই ইউরোপের বাজারে হিমায়িত চিংড়ি রফতানি করতে পারবেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। গত বছরের ১৬ নভেম্বর বাংলাদেশ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশে রফতানি করা চিংড়ি ও মাছ-জাত পণ্যের ২০ শতাংশ বাধ্যতামূলক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত আরোপ করা হয়। এতে চিংড়ি রফতানি কমে যায়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে পাঠানো মিঠা পানির গলদা চিংড়ির বেশির ভাগ চালানে নিষিদ্ধ অ্যান্টিবায়োটিক নাইট্রোফিউরান পাওয়া যায়। ইউরোপে প্রবেশে বন্দরে চিংড়ির চালান আটক করা হয়। বাংলাদেশের গলদা চিংড়ি ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ল্যাবরেটরিতে নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। চিংড়ির খোসা ও মাছ পৃথকভাবে পরীক্ষা করে মাছে নাইট্রোফিউরানের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। খোসার উঁচুস্তরে নাইট্রোফিউরান পাওয়া যায়। পরীক্ষায় প্রতীয়মান হয় যে, গলদা চিংড়ি প্রাকৃতিকভাবেই দেহের মধ্যে নাইট্রোফিউরান তৈরি করে এবং তা খোসার মধ্যে সঞ্চিত থাকে। নেদারল্যান্ডসের এক বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনভাবে গলদা, বাগদা ও কাঁকড়ার ওপর পরীক্ষা চালিয়ে একই ফল পায়।