খোলা বাজার২৪,শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৫: ২০-দলীয় জোট ঐক্যবদ্ধভাবে প্রার্থীদের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আগামী যে কয়দিন প্রচারের জন্য অবশিষ্ট আছে, সে কয়দিন তাঁরা প্রচার চালিয়ে যাবেন। একই সঙ্গে পৌর নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে পৌর নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা ঠিক করতে ২০ দলের শরিক দলগুলোর মহাসচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়। এতে অন্য শরিক দলের নেতারা উপস্থিত থাকলেও জামায়াতের কোনো নেতা ছিলেন না।
বিভিন্ন পৌরসভায় বিএনপি ও জামায়াতের আলাদা প্রার্থী আছে। সেখানে কীভাবে সমন্বয় করা হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, স্থানীয়ভাবে কিছু সমস্যা আছে। স্থানীয়ভাবে সেসব সমাধান হবে।
বৈঠক সূত্র জানায়, জোটগতভাবে প্রচারের ঘোষণা দেওয়া হলেও এটি নিয়ে শরিক কয়েকটি দলের নেতাদের ক্ষোভ আছে। বৈঠকেও বিষয়টি আলোচনায় আসে। একটি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের মহাসচিব বৈঠকে বলেন, শরিক দলগুলোকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নামের তালিকা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু কোনো কোনো ক্ষেত্রে যে ই-মেইল ঠিকানা দেওয়া হয়েছে, এতে মেইল যায়নি। ফোনেও বিএনপির সংশ্লিষ্ট নেতাদের পাওয়া যায়নি। সব সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে, এখন আর কী সমন্বয় হবে? যেসব জায়গায় দলটির নিজস্ব প্রার্থী আছে, সেখানে তাঁরা নিজেদের প্রার্থীর জন্য কাজ করবেন।
বৈঠক শেষে নাম প্রকাশ না করে জোটের একটি শরিক দলের নেতা প্রথম আলোকে বলেন, এই বৈঠক আসলে ‘আই ওয়াশ’। জোটভুক্ত দলগুলোকে সান্ত্বনা দিতে বিএনপি দায়সারা এ বৈঠক ডেকেছে।
বৈঠকে ২০ দলের নেতা-কর্মীদের ‘মিথ্যা মামলা’ দেওয়া থেকে বিরত থাকা ও গ্রেপ্তার হওয়া নেতা-কর্মীদের মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান মির্জা ফখরুল। নির্বাচন কমিশনের প্রতি অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনে সরকার যেন কোনোভাবে হস্তক্ষেপ না করে। তিনি বলেন, গণতন্ত্র এখন সবচেয়ে বড় বিপদের সম্মুখীন। দেশে অনুপস্থিত গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে ২০ দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।
বিএনপির এই নেতা আশা করেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হলে জনগণ গণতন্ত্রের পক্ষে রায় দেবে। সে জন্য ভোট দেওয়ার মতো পরিবেশ রাখতে হবে।
বৈঠকে বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান আবদুল মোবিনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয়। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করা হয়।
বৈঠকে জোটের মহাসচিব পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে জাতীয় পার্টির মোস্তফা জামাল হায়দার, এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, খেলাফত মজলিশের আহমেদ আবদুল কাদের, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, বাংলাদেশ ন্যাপের গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, কল্যাণ পার্টির এম এম আমিনুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।