খোলা বাজার২৪,শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৫: বিভিন্ন পৌরসভায় মেয়র প্রার্থীদের ভয়ভীতি দেখানোর পাশাপাশি উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড উদ্বোধন করে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
শনিবার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন এ অভিযোগ করে দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, “অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে- পৌর নির্বাচনে সরকার ও নির্বাচন কমিশন পার্টনারশিপের ভিত্তিতে মেয়রসহ কাউন্সিলর পদগুলো ছিনিয়ে নিতে চাইছে। সরকারের গেইম থিওরির একটাই উদ্দেশ্য- মাঠে পক্ষ না রাখা।”
পৌর নির্বাচনে ‘ক্ষমতাসীন দলের বিধি লঙ্ঘনের’ বিভিন্ন ঘটনা তুলে তিনি বলেন, “আমরা জানতে পেরেছি, নান্দাইল আসনে ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ আনোয়ারুল আবেদিন খান তুহিন পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে উন্নয়নমূলক কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে ভোটারদের নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার কথা বলছেন। ওয়ার্ডে বিদ্যুৎ দেওয়ার প্রতিশ্র“তিতে বিদ্যুতের খুঁটিও পুঁতছেন।”
রিজভী বলেন, “শুধু তাই নয়, নাটোর ও চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডসহ বিভিন্ন পৌরসভায় স্থানীয় সাংসদ ও মন্ত্রীরা আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পক্ষে প্রকাশ্যে ভোট চাচ্ছেন। মন্ত্রীরা সরকারি প্রটোকল ব্যবহার করে প্রার্থীদের বাসায় গিয়ে সভা করছেন। এসব সরাসরি নির্বাচনী বিধির লঙ্ঘন। ”
এছাড়া রাজশাহী, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, কুমিল্লা, ভোলা, ফরিদপুর, শরীয়তপুর, নারায়ণগঞ্জ, জয়পুরহাট, ময়মনসিংহ, বরগুনা, ঝালকাঠি, নোয়াখালীর চাটখিল পৌরসভাসহ বিভিন্ন স্থানে মন্ত্রী-সাংসদদের আচরণবিধি লঙ্ঘন, বিএনপির প্রার্থী-সমর্থকদের ভয়ভীতি প্রর্দশন এবং তাদের বাড়িঘরে হামলা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
রিজভী বলেন, “নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের এতো অভিযোগের পরও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা গর্হিত, অনভিপ্রেত ও গণতন্ত্রের নামে চরম লজ্জার। তাদের কোনো মাথা ব্যাথা নেই বলে মনে হচ্ছে।”
সংবাদ সম্মেলনে সাম্প্রতিক সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বিভিন্ন বক্তব্যের সমালোচনাও করেন রুহুল কবির রজভী।
“তিনি (প্রধানমন্ত্রী) দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে না পারলেও বিরোধী দলকে গালিগালাজ ও সহিংস আক্রমণ জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি করেছেন। গণতন্ত্রকে হাজতে রেখে অভিনব সন্ত্রাসী পন্থা কাজে লাগিয়ে ভোট ডাকাতির উচ্চমাত্রা স্থাপনে পৃথিবীর সব স্বৈরাচারকে হার মানিয়েছেন।”
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান, মাহবুবউদ্দিন খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।