Sun. May 4th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

6খোলা বাজার২৪, বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫: দলীয় চেয়ারপারসন দাবি তোলার পর প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে পৌর নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের আহ্বান জানিয়ে এসেছে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল।
গত মাসে এই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সেনা মোতায়েনের দাবি তোলেনি বিএনপি। নির্বাচন কমিশনও স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয়নি।
মঙ্গলবার প্রথম বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সেনা মোতায়েনের দাবি তোলেন। এর পরদিনই ইসিতে গেলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খানের নেতৃত্বে বিএনপি নেতারা।
এখন কেন সেনা মোতায়েন চাইছেন- জানতে চাইলে মঈন খান সাংবাদিকদের বলেন, “দুই সপ্তাহ আগের পরিস্থিতি আর এখনকার পরিস্থিতি ভিন্ন।
“এখন নতুন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনা মোতায়েন করতে অনুরোধ করেছি আমরা।”
৩০ ডিসেম্বরের এই ভোট নিয়ে তিন দিন আগে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠক করে ইসি। বৈঠকের পর সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেছিলেন, পরিস্থিতি ভালো আছে, সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন নেই।
মঈন খান দাবি করেছেন, দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠেয় প্রথম নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদের প্রচার চালাতে নানাভাবে বাধা নেওয়া হচ্ছে।
“দুই সপ্তাহ ধরে যে জুলম-নির্যাতন চলছে দলের নেতাকর্মীদের ওপর, তাতে আর লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। এ নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।”
মঙ্গলবার ভোটের প্রচারে পটুয়াখালীতে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বিএনপি নেতা, সাবেক মন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরীর গাড়ি; দলটির অভিযোগ, আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থকরা এই হামলা চালায় মঙ্গলবার ভোটের প্রচারে পটুয়াখালীতে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বিএনপি নেতা, সাবেক মন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরীর গাড়ি; দলটির অভিযোগ, আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থকরা এই হামলা চালায়
প্রশাসন ও সরকারদলীয় লোকজন থেকে যে পরিবেশ তৈরি করেছে তাতে বিএনপির জন্য সমান সুযোগ থাকছে না, বলেন তিনি।
ভোটে সেনা মোতায়েন না হলে বিএনপির অবস্থান কী হবে- প্রশ্ন করা হলে দলের নীতি-নির্ধারণী ফোরামের এই সদস্য বলেন, “আমরা এখনও ইসির অবস্থান জানি না, ইসি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন।”
বিএনপির দাবির বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কারও কোনো বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
এদিকে শনিবারের আইন-শৃঙ্খলা বৈঠকের পর মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সিইসি স্বাক্ষরিত ইসির সিদ্ধান্ত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে সেনা মোতায়েনের কোনো কথা নেই।
ইসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, নির্বাচনী এলাকায় পুলিশ, এপিবিএন, ব্যাটালিয়ন আনসার, র‌্যাব, কোস্টগার্ড ও বিজিবি মোতায়েন করা হবে।