Wed. May 7th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

tiwlipখোলা বাজার২৪, বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫: ছোটবেলা থেকেই রাজনীতি করতে চেয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক, অন্য কিছু নয়। রাজনীতি মানে মানুষের সেবা করা—এই চেতনা টিউলিপের মধ্যে সঞ্চার করেছেন তাঁর খালা শেখ হাসিনা। খালা তাঁর রোল মডেল। নানা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে চোখে দেখেননি, তাঁর গল্প শুনে অনুপ্রাণিত হয়েছেন।
আজ বুধবার স্কলাস্টিকা স্কুল আয়োজিত ‘অনুপ্রেরণাময়ী নারী’ শীর্ষক একটি আলোচনায় অংশ নিতে টিউলিপ সিদ্দিক গিয়েছিলেন স্কুলটির উত্তরা শাখায়। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে সংবাদ সম্মেলনে সংবাদকর্মীদের এই কথাগুলো বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনের আগে টিউলিপ মতবিনিময় করেন স্কুল ছাত্রীদের সঙ্গে। স্কলাস্টিকায় তিনি নিজে চার বছর পড়েছেন। আজ সে স্কুলেই অনুপ্রেরণাময়ী নারী হিসেবে উপস্থিত হতে পেরে তাঁর খুশির কথা জানান। রাজধানীর নয়টি স্কুলের ছাত্রীদের কাছে টিউলিপসহ ২০ জন অনুপ্রেরণাময়ী নারী কথা বলেন। টিউলিপ ছাত্রীদের বলেন, ‘আমি রাজনীতি করতে চেয়েছিলাম। রাজনীতি করছি। তোমাদের যার যা করতে ইচ্ছে হয়, লক্ষ্য ঠিক রেখে তাই করার চেষ্টা করবে।’
সংবাদকর্মীদের প্রতি আয়োজকদের অনুরোধ ছিল ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিককে যেন বাংলাদেশের রাজনীতি সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন করা না হয়। ঘুরেফিরে প্রশ্নটা এলই। এক সাংবাদিক প্রশ্ন করলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার কোনো ইচ্ছে তাঁর আছে কি না? একগাল হেসে টিউলিপ বললেন, ‘জানতাম, প্রশ্নটা উঠবেই। ভবিষ্যতে কী হয়, বলা যায়?’ মানুষের জন্য কাজ করতে চাইলে সব জায়গা থেকেই করা যায়।
রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে টিউলিপ বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমি রাজনীতি করতে চেয়েছি। আমি বড় হয়েছি যুদ্ধের গল্প শুনে। আমি বঙ্গবন্ধুকে দেখিনি, কিন্তু তাঁর অবদানের কথা জেনেছি। তিনি প্রেরণা জুগিয়েছেন। আমার মা-খালা শিখিয়েছেন, রাজনীতি মানে মানুষকে সাহায্য করা। আমিও তাই মনে করি।’
টিউলিপ আজ ব্রিটেনে বসবাসরত বাংলাদেশিদের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ বলেছিল যে আমি নির্বাচিত হলে শুধু আওয়ামী লীগের কথাই বলব। এমন একটা চ্যালেঞ্জে আমাকে পড়তে হয়েছিল। আমার আসনে খুব বেশি বাঙালি নেই। আমি মুসলিম। এসব চ্যালেঞ্জে আমাকে পড়তে হয়েছিল। কিন্তু আমি ভোটারদের বোঝাতে পেরেছি। সিলেট, খুলনা, টাঙ্গাইলসহ অনেক জেলা থেকে মানুষ ব্রিটেনে গেছেন। তাঁরা সবাই আমার খোঁজ-খবর করেছেন। আমার শেকড় যে বাংলাদেশে, এটা ভেবে আমি গর্ববোধ করি। বিশেষ করে বাংলাদেশকে যখন ‘‘উদীয়মান অর্থনীতি’’র দেশ বলা হয়, আমার অহংকার হয়।’
টিউলিপ বললেন, তাঁর এমপি হওয়ার পথটা খুব কঠিন ছিল। তবে ঐতিহাসিকভাবেই তাঁর দল লেবার পার্টির প্রতি অভিবাসী বাংলাদেশিদের আস্থা আছে। অনুপ্রেরণাময়ী নারী হিসেবে তিনি শুধু স্কলাস্টিকা স্কুলেই নয়, দেশের অন্যান্য স্কুলেও যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।