খোলা বাজার২৪, বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫: এই পৃথিবীতে মানুষ আর কত দিনই বা বাঁচে! তবু কে কত দিন বেঁচে থাকবেন, এ নিয়ে জানার আগ্রহ শুরু প্রাচীনকাল থেকেই। এর উত্তর খোঁজার জন্য ভবিষ্যদ্বক্তা থেকে চিকিৎসক—সবার কাছেই হন্যে হয়ে ছোটার নজিরও আছে অনেক। তবে এই একবিংশ শতাব্দীতে এসে গবেষকরা জানাচ্ছেন, আয়ুর খোঁজ জানতে কোথাও যেতে হবে না। ঘরে বসেই একটা ছোট্ট পরীক্ষার সাহায্যে জেনে নেওয়া যাবে ‘মাটির পৃথিবীতে’ আপনার বিচরণকাল।
যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ইউএস টুডে জানিয়েছে, ব্রাজিলের চিকিৎসক ক্লদিও গিল আরাজুও ‘আয়ু নির্ধারণী’ একটি পরীক্ষা আবিষ্কার করেছেন। এতে কোনোরকম খরচ ছাড়াই মানুষের আয়ুর বিষয়ে একটি ‘প্রায় স্বচ্ছ’ ধারণা পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক।
পরীক্ষাটির আবিষ্কারক ক্লদিও জানান, পরীক্ষাটির জন্য প্রথমেই একজন সহকারী কাম ‘পরীক্ষক’ লাগবে, যাঁর কাজ হবে নিয়ম অনুসরণ করে ‘পরীক্ষার্থীকে’ নম্বর দেওয়া।
পরীক্ষাটির প্রথম ধাপে পরীক্ষার্থী ছবি অনুসরণ করে দাঁড়াবেন। এর পর কোনো হাতের সাহায্য না নিয়ে অথবা কিছু না ধরে হাঁটু গেড়ে বসবেন। এর পরই আবার বসা থেকে উঠে দাঁড়াতে হবে, যথারীতি কোনো কিছুর সাহায্য না নিয়েই। এভাবে দুবার পরীক্ষাটি করার পর নির্দেশনা চিত্রে থাকা বসা থেকে ওঠার কৌশল অনুযায়ী ১০-এর মধ্যে নম্বর দেবেন পরীক্ষক।
যেমন : মাটিতে হাতে ভর দিয়ে উঠলে এক রকম নম্বর, হাঁটুতে ভর দিয়ে উঠলে অন্য রকম। বসা ও ওঠার ধরনের ওপর প্রতিবার ৫ নম্বর বণ্টন হবে। হাত, হাঁটু, কনুই, ঊরু অথবা পায়ের পাশের দিক ব্যবহার করে উঠলে প্রতিক্ষেত্রে ১ নম্বর করে কাটা যাবে। এ ছাড়া ভারসাম্য হারানোর জন্য প্রতিবার ১/২ নম্বর কাটা হবে।
ক্লদিও জানান, এ পরীক্ষা করার পর কারো পাওয়া নম্বর যদি ৩-এর কম হয়, তাহলে জানবেন ওই ব্যক্তির আগামী ছয় বছরের মধ্যে বড় স্বাস্থ্যগত সমস্যার আশঙ্কা রয়েছে, যা থেকে মৃত্যুও ঘটতে পারে। আর প্রাপ্ত নম্বর ৮-এর বেশি হলে আগামী ছয় বছরে ওই ব্যক্তির বড় স্বাস্থ্যগত সমস্যার আশঙ্কা কম। আর ৯ কিংবা ১০ নম্বর পেলে দীর্ঘায়ু হবেন ওই ব্যক্তি।
এই পরীক্ষা পদ্ধতি বলার আগে একটা কথা বলে রাখি। চিকিৎসক ক্লদিও জানিয়েছেন, তাঁর এই পরীক্ষা পঞ্চাশোর্ধ্ব মানুষের ক্ষেত্রে কার্যকর হয়। ক্লদিও নিজেও পরীক্ষাটি করেছেন শুধু ৫১ থেকে ৮০ বছর বয়সীদের নিয়ে। তবে ক্লদিও আরো জানান, কারো বয়স যদি ৫০-এর কম হয়, তাহলে যে এই পরীক্ষার ফল মিলবে, এমনটা নাও হতে পারে।