Thu. May 8th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

1খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫ : ভরষব-(৫)মাত্র সাড়ে আট ঘণ্টার ব্যবধানে আজ বুধবার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুই দফায় ২০ কেজি সোনা জব্দ করা হয়েছে। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই চীনা নাগরিকসহ ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। জব্দ করা সোনার বাজার মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা।
ঢাকা কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার শহিদুজ্জামান সরকার বলেন, আজ রাত সাড়ে নয়টায় মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে করে কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকায় আসা দুই যাত্রী মাস চারেক আগেও বাংলাদেশে এসেছিলেন। সেসময় তল্লাশি করে তাদের কাছে কোনো সোনার বার পাওয়া যায়নি। আজ আবারও ঢাকায় আসছেন খবর পেয়ে বিমানবন্দরে আগে থেকেই নজর রাখছিলেন শুল্ক কর্মকর্তারা। পরে বিমানবন্দরের গ্রিন চ্যানেল থেকে তাঁদের আটক করে তল্লাশি চালিয়ে তাঁদের কাছ থেকে এক কেজি ওজনের ছয়টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। দুজনের প্যান্টের বেল্টের ভেতর থেকে দুটি এবং প্যান্টের পকেটে একটি করে সোনার বার পাওয়া যায়। ওই ছয় কেজি সোনার বাজারমূল্য তিন কোটি টাকার মতো। দুজনের বিরুদ্ধেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এর আগে বেলা একটার দিকে এই বিমানবন্দর থেকে সাড়ে ১৪ কেজি সোনা উদ্ধার করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। এসব সোনা পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে আটক করা হয়েছে। উদ্ধার করা ওই সোনার বাজারমূল্য সাত কোটি টাকার মতো।
আটক চারজন হলেন আনোয়ার পারভেজ (২৫), ওসমান সোহেল (২৯), আনোয়ারা বেগম (৩০) ও ফারজানা মনি (২৫)। আনোয়ারা ও ফারজানা অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রী হিসেবে বাংলাদেশ বিমানে করে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা আসেন। এ ছাড়া আনোয়ার ও ওসমান একই বিমানে কুয়েত থেকে দেশে ফেরেন।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান বলেন, আজ দুপুরে বাংলাদেশ বিমানের উড়োজাহাজটি কুয়েত থেকে চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকায় আসে। এর আগে চট্টগ্রাম থেকে ওই বিমানে ওঠেন আনোয়ারা ও ফারজানা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বেলা সোয়া একটার দিকে হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল থেকে ওই দুই নারীকে আটক করা হয়। কোমরে বেল্টের ভেতর তাঁরা ১২৫টি সোনার বার লুকিয়ে রেখেছিলেন। প্রতিটি বারের ওজন ১১৬ গ্রাম। তাঁদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে বেলা পৌনে দুইটার দিকে বিমানবন্দরের কাস্টম হল থেকে আনোয়ার ও ওসমানকে আটক করা হয়।
মইনুল খান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, ওই দুই নারী চট্টগ্রামের একটি বিউটি পারলারে কাজ করেন। কুয়েত থেকে সোনার বারগুলো নিয়ে এসেছিলেন আনোয়ার ও ওসমান। চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে অভ্যন্তরীণ যাত্রী হিসেবে ওঠার পর দুই নারীকে সোনার বারগুলো দিয়ে দেন তাঁরা। আটক চারজনের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা হয়েছে।