খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫ : উইকেটকিপিং করেন, সঙ্গে ব্যাটিংয়ে দলের মেরুদণ্ডও তিনি। এরপরে আবার দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার গুরুভারও তাঁর। ভারতীয় দলের প্রাণ ভোমরা তো মহেন্দ্র সিং ধোনি। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরেই শেষের বাঁশি শুনছেন ধোনি। ধোনির শূন্যস্থান কে পূরণ করবেন সে হাহাকারও উঠে গেছে। প্রার্থনার উত্তর মিলেছে খুব জলদি। ধোনির ঝাড়খণ্ড থেকেই ‘আগামীর ধোনি’র খোঁজ পেয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটে!
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ উপলক্ষে ভারতীয় দল ঘোষণা হয়েছে। সে দলের অধিনায়ক করা হয়েছে ইশান কিশানকে। ধোনির সঙ্গে অনেক কিছুতেই তাঁর মিল। একই অঞ্চলের। উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। সঙ্গে নেতৃত্ব। আর কী চাই! ভারতীয় মিডিয়ায় কিশানই ‘আগামীর ধোনি’।
অবশ্য ধোনির মতো মিডল বা লোয়ার মিডল অর্ডার নয়, কিশান ব্যাটিং করেন টপ অর্ডারে। পার্থক্য আরেকটি আছে। এই ‘ধোনি’ বাঁহাতি। গত আট বছর ধরে ভারতকে নেতৃত্ব দেওয়া ধোনি যখন অধিনায়কত্বের শেষ অধ্যায়ে দাঁড়িয়ে আছেন বলে অনেকেরই অনুমান, ঠিক সেই সময়েই কিশানের ভবিষ্যৎ ‘জাতীয় দল’কে নেতৃত্ব দেওয়া হয়তো ভবিষ্যতেরই আরেকটি ইঙ্গিত। কে না জানে, আজকের বিরাট কোহলি আলোচনায় এসেছিলেন ভারতকে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জিতিয়েই।
কিশানের নেতৃত্ব কোহলির সাফল্য অনূদিত হবে কি না, সেটি জানা যাবে ১৪ ফেব্র“য়ারি। এ দিন মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের যুব বিশ্বকাপের ফাইনাল। তবে কিশান এরই মধ্যে আগ্রাসী ব্যাটিং দিয়ে রঞ্জিতে নজর কেড়েছেন সবার। সেই সূত্রেই মাত্র ১৭ বছর বয়সেই অনূর্ধ্ব-১৯ দলে ডাক পেয়েছিলেন। আর বিশ্বকাপের ঠিক আগে আগেই তো দলের অধিনায়কও বনে গেলেন!
এই দিক দিয়ে ধোনির চেয়ে এগিয়ে আছেন কিশান। ধোনি কিন্তু অধিনায়ক হওয়া দূরের কথা, অনূর্ধ্ব-১৯ দলে ডাক পাননি কখনো। ঝাড়খণ্ডের গর্ব ধোনি তো ভারতকে দুটি বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন, কিশান কী করে, সেটাই দেখার।