Sat. Mar 15th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

44খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫ : ঞড়ভধবষ-অযসবফথ১বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সমালোচনা করে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘আমাদের উন্নতি তাঁরা দেখেন না। বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সম্মেলন সভায় সবাই বাংলাদেশকে প্রশংসার চোখে দেখেছে। অথচ সিপিডি কিছুই দেখতে পায়নি।’
আজ বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন।
কেনিয়ার নাইরোবিতে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ডব্লিউটিও মন্ত্রিপর্যায়ের সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রাপ্তিকে হতাশাজনক বলে মনে করছে সিপিডি। গতকাল বুধবার রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউটিওর বৈঠকে সিপিডির ওই মূল্যায়নের পরিপ্রেক্ষিতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। গতকালের সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘বিশ্ব এখন সংকটাপূর্ণ। আবার নতুন সুযোগও সৃষ্টি হয়েছে। নিজেদের সুরক্ষা রেখে বাংলাদেশ আরও আক্রমণাত্মক হবে, আগ্রাসী হবে—সেটা বিবেচনায় রাখতে হবে।’
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমাদের উন্নতি তাঁরা (সিপিডি) দেখেন না। সম্মেলনে সবাই বাংলাদেশকে প্রশংসার চোখে দেখেছে। অথচ সিপিডি কিছুই দেখতে পায়নি। দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য (সিপিডির বিশেষ ফেলো) তো জেনেভায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। তিনি কী করেছিলেন? তাঁর কী অর্জন। অথচ বর্তমানের রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান ও মোস্তফা আবিদ খান চমৎকার কাজ করছেন। সুতরাং কথা বলার সময় একটু দেশের কথাও বলতে হয়। খারাপ লাগে দেশের জন্য কষ্ট করি, পরিশ্রম করি, এগুলোর কোনো মূল্যায়ন নেই। পণ্য রপ্তানিতে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া প্রায় সবার কাছ থেকে আমরা শুল্কমুক্ত সুবিধা পাই। বাংলাদেশের কিছু অর্জন নিয়ে সিপিডি হতাশ। ওই দেশের নামটা কিন্তু সিপিডি বলেনি। আমার মনে হয় বললে অসুবিধা আছে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সিপিডি একটি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান। তাদের নিয়ে আমার কথা বলা মানানসই নয়। অন্তত দেখতে ভালো লাগে না। বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার মন্ত্রিপর্যায়ের সম্মেলনে যে সফলতাগুলো অর্জন করেছি তা সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছি। সাংবাদিকেরা ক্ষমা করবেন। যেহেতু এগুলো অর্জন, তাই বোধ হয় সিপিডি সংবাদ সম্মেলন করে বলেছে ডব্লিউটিও সম্মেলনে প্রাপ্তি হতাশাজনক। আমি বিনয়ের সঙ্গে বলি, দুর্ভাগ্য হলেও সত্যি সিপিডির কোনো প্রতিনিধিকে ডব্লিউটিওর সম্মেলনের ধারেকাছেও দেখিনি।’
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘সিপিডির লোকজন ডব্লিউটিওর সম্মেলনে গিয়েছেন, কিন্তু বাইরে দূরে তাঁরা ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন নিয়ে বৈঠক করেছেন। আমাকেও যেতে বলেছিলেন তাঁদের বৈঠকে। কিন্তু আমার যাওয়া সম্ভব হয়নি। সুতরাং ভেতরে কী হলো, কী হলো না—তাঁদের জানার কথা নয়। অথচ তাঁরা বলে দিলেন সম্মেলনের প্রাপ্তি হতাশাজনক। ওষুধ খাতে ১৭ বছরের মেধাস্বত্ব মানা থেকে অব্যাহতি পেয়েছি। ডব্লিউটিও সম্মেলনে এই অব্যাহতি গৃহীত না হলে তা বাস্তবায়ন করা যায় না। এবারের সম্মেলনে তা গৃহীত হয়েছে। পণ্য উৎপাদনে রুলস অব অরিজিন (উৎসবিধি) শিথিল হয়েছে।’ তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘এটা কি আমাদের প্রাপ্তি নয়?’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সেবা খাতে ছাড় (সার্ভিস ওয়েভার) পেয়েছি, এটাও আর একটা প্রাপ্তি। এগুলো সিপিডির চোখে পড়েনি। দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য (সিপিডির বিশেষ ফেলো) এবং মোস্তাফিজুর রহমানের (সিপিডির নির্বাহী পরিচালক) সঙ্গে আমি কথা বলেছি। আমি তাঁদের সম্মান করি। কিন্তু কোনো দিন তাঁরা বাংলাদেশের ভালো কাজে প্রশংসা করেননি।’
সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যসচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সের (আইসিসি) মাহবুবুর রহমান এবং ইনসেপটা ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মোক্তাদির বক্তব্য দেন।