খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৫ : সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠানের ওয়াদা রক্ষা করতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে বিএনপি। বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় বিএনপির প্রার্থী-সমর্থকদের বাধা দেওয়া ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ তুলে দলটি প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা দাবি করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। এতে বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগের পৌর নির্বাচন মনিটরিং টিমের আহ্বায়ক ও ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মনিটরিং টিমের আরেক আহ্বায়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মীর মো. নাছিরউদ্দিন, পৌর নির্বাচন মনিটরিং সেলের সদস্যসচিব ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খোন্দকার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান, সাবেক সাংসদ সরওয়ার জামাল নিজাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, সারা দেশে বিএনপির প্রার্থী ও নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা ও ভয়ভীতি দেখানোর একই চিত্র পাওয়া যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের এসব কর্মকাণ্ডের প্রধান শক্তি হচ্ছে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন। দেশের বিভিন্ন এলাকায় এরই মধ্যে পরিকল্পিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। এবারের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করতে দিয়ে আওয়ামী লীগকে ৫ জানুয়ারি ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মতো একতরফা নির্বাচনের কলঙ্ক থেকে কিছুটা মুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
মীর মো. নাছিরউদ্দিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এইচ এম এরশাদও বলছেন যে নয়টার মধ্যেই ভোট শেষ হয়ে যাবে। এখানে তাহলে আমাদের বলার আর কী থাকে? সুষ্ঠু নির্বাচনের গণতান্ত্রিক প্রথা চালুর জন্য আমরা এ নির্বাচনে অংশ নিয়েছি।’
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন গোলাম আকবর খোন্দকার। অভিযোগ করা হয়, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে নির্বাচন কমিশন জাতির কাছে ওয়াদা করেছিল সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা হবে। এ কারণে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। কিন্তু নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর পর থেকেই সারা দেশে বিএনপির প্রার্থীদের ও নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা, মামলা ও বিভিন্নভাবে হয়রানি চলছে। সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম বিভাগের ৩৭টি পৌরসভার কিছু চিত্রও তুলে ধরা হয়।
গোলাম আকবর খোন্দকার আরও বলেন, ‘এই প্রথম দলীয় প্রতীকে পৌরসভা নির্বাচন হচ্ছে। এটি আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা দেখতে চাই, সরকার ও নির্বাচন কমিশন জাতির কাছে সুষ্ঠু নির্বাচনের যে ওয়াদা দিয়েছে, তা কতটুকু পালন করে। আমরা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকব। এই নির্বাচন কতটুকু সুষ্ঠু হয়, তা দেখার পর আমাদের পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।’