খোলা বাজার২৪,শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৫: রাজধানীর মিরপুর-১ থেকে আটককৃত জঙ্গিদের সঙ্গে বাড়িওয়ালার কোনো সম্পর্ক রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখবে পুলিশ। বাসা ভাড়া দেওয়ার সময় কোনো গাফিলতি ছিল কিনা তাও তদন্ত করা হবে। আজ শুক্রবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) ছানোয়ার হোসেন এ সব তথ্য জানান। তিনি বলেন, বুধবার রাত ২টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা পর্যন্ত বাড়িটির চারপাশ ঘিরে ফেলা হয়।
সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত তাদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানায় পুলিশ। এর আগে বাড়ির অন্যান্য বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু তারা আত্মসমর্পণ করেনি। এরপর ভেতরে প্রবেশ করি। তিনি আরো জানান, পুলিশের ক্রসফায়ারে নিহত জেএমবির একটি গ্রুপের কমান্ডার আলবানীর কয়েকজন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ঢাকার একটি নির্দিষ্ট স্থান থেকে তাদের কাছে বিস্ফোরকের সাপ্লাই আসে বলে জানিয়েছিল তারা। সেই তথ্যের ভিত্তিতে মিরপুর-১ এলাকা থেকে বুধবার সন্ধ্যায় মো. আবু সাঈদ ওরফে রাসেল ওরফে সালমানকে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করে ডিবি।
মিরপুর থেকে যাদের আটক কর হয়, সালমান তাদের সমন্বয়ক। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই বাসায় অভিযান চালানো হয়। ওইদিনের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ছানোয়ার হোসেন বলেন, দরজা ভেঙ্গে ৬ তলার ওই ফ্ল্যাটটিতে প্রবেশের চেষ্টা করি। এ সময় তারা গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটায়। আমরাও শর্টগানের কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়ি। সাউন্ডগ্রেনেড ও টিয়ারসেল ব্যবহার করি। ওই ফ্লাট থেকে থেকে ইলিয়াস ওরফে ওমর ফারুক (২৩) ও মহসীন আলী ওরফে রুবেলকে (২০) আটক করা হয়। ওমর ফারুক সাভারের আল-আরাফাহ ব্যাংকের পিয়ন ও বোমা তৈরিতে সহায়তা করেন। রুবেল বোমা তৈরির বিশেষজ্ঞ।
এ ছাড়াও পাশের ফ্ল্যাট থেকে আটক চারজনের বিষয়ে তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। অভিযানের সময় শাকিল ও সোহেল রানা ওরফে রায়হান ওরফে ইমরান ওরফে হিরন নামে আরো দুই জন বাসায় না থাকার কারণে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। এর মধ্যে শাকিল ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার। সে এই দলের বোমা তৈরির প্রধান। সেই ওই গ্রেনেডগুলো তৈরি করেছে। সোহেল রানা ঢাকা ও আশপাশের এলাকার জেএমবির গ্রুপটার কমান্ডার।