Sun. May 4th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

11খোলা বাজার২৪,শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৫: সে দিন ছিল ছোট্ট কাইলির পাঁচ বছরের জন্মদিন। মা লোরি, দাদু সিন্ডি, দুই ছোট বোন কেটি ও এমার সঙ্গে গাড়িতে কার্নিভালে যাচ্ছিল ছোট্ট কাইলি। চিড়িয়াখানা, ফেয়ারগ্রাউন্ডে রাইড, বার্থডে বয় কাইলির দিনটা হতে চলেছিল স্বপ্নের মতো। হঠাৎ জীবন্ত বিভীষিকার মতো ট্রাকের ধাক্কায় দুমড়ে মুচড়ে যায় গাড়ি। মুহূর্তেই শেষ হয়ে যায় স্বপ্ন।
বাবা ক্রিস যখন ফোন পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছান, ততক্ষণে সব শেষ। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে কেটি, এমা। ধীরে ধীরে ওঠানামা করছিল কাইলির বুক। বাঁচার কোনো আশা নেই। করুণ হাতে নিজেরাই লাইফ সেভিং মেশিন বন্ধ করেছিলেন মা-বাবা। ছোট্ট তিনটে কফিনের সামনে বসে ক্রিস-লোরি একে অপরকে প্রমিস করে যাই ঘটুক, তারা আত্মহত্যা করবেন না।
এর পর থেকে দিনগুলো বন্ধ ঘরেই কাটছিল। আশেপাশের বাচ্চাদের কলকল, হাসি, খেলার আওয়াজ শুনলেই বুকের ভিতর যেন শুরু হয়ে যেত রক্তপাত। ইচ্ছা, স্বপ্ন সম্বল করে বছর খানেক পর আবার তারা পা বাড়ান ফার্টিলিটি ক্লিনিকের দিকে।
দৈব যেন অপেক্ষা করেই ছিল। একটা নয়। লোরি-ক্রিসের কোল আলো করে এল তিনটি সন্তান। আবারও দুই মেয়ে, এক ছেলে। অ্যাশলে, এলি ও জেককে নিয়ে আবার ভরা সংসার লোরি-ক্রিসের। তারা জানেন কোনো দিনই ফিরবে না কাইলি, কেটি, এমা। তাই ক্রিসমাস উদযাপনে তারা পিকনিকে গেলেন গোরস্থানে। একমাত্র ওখানেই যে এক সঙ্গে হতে পারে গোটা পরিবার।