খোলা বাজার২৪,শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৫: আফগানিস্তানের বিপক্ষে বড় হারটি এক ঝটকায় মামুনুলদেরকে খাদের কিনারে ঠেলে দিয়েছে। মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য হয়ে উঠেছে বাঁচা-মরার লড়াই। এ লড়াইয়ে জিতে সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের সেমি-ফাইনালে ওঠার পথটা এখন খুঁজছে বাংলাদেশ।
ত্রিভান্দ্রাম স্টেডিয়ামে আগামী শনিবার বাংলাদেশ সময় বিকাল চারটায় ‘বি’ গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল।
গ্রুপের প্রথম ম্যাচের পর দুই দল আছে দুই মেরুতে। অনেক প্রত্যাশা নিয়ে খেলতে নেমে আফগানিস্তানের কাছে ৪-০ গোলের হারে কোণঠাসা মামুনুলরা। অন্যদিকে ভুটানকে ৩-১ গোলে হারিয়ে দারুণ উজ্জীবিত মালদ্বীপ।
ম্যাচের আগের দিন মালদ্বীপ ম্যাচ নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছেন বাংলাদেশ কোচ মারুফুল হক। জানালেন শিষ্যদের হারানো মনোবল ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করার কথাও।
“প্রথম ম্যাচে হেরে ছেলেদের মনোবল স্বাভাবিকভাবে কমেছে। কোচের কাজ মনোবল ফেরানো; আমিও এ মুহূর্তে সে চেষ্টাই করছি।”
গত ১০ ম্যাচের পরিসংখ্যানে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশের জয় তিনটি, মালদ্বীপের দুটি। বাকি পাঁচ ম্যাচ ড্র। বাঁচা-মরার লড়াইয়ের আগে অবশ্য পরিসংখ্যান নিয়ে খুব একটা ভাবছেন না বাংলাদেশ কোচ।
“সেমি-ফাইনালে যেতে হলে আমাদের আসলে গ্রুপের বাকি দুই ম্যাচ জিততে হবে। মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচটি আমাদের জন্য ফাইনাল ম্যাচ।”
গোঁড়ালিতে চোট পাওয়া নাসিরউদ্দিন চৌধুরীকে মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচে পাচ্ছে না বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে দুই উইংয়ে জাহিদ হোসেন ও হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাসের জুটি সে অর্থে জমেনি; এই পজিশনে বদল আনার কথা বলেছেন কোচ। এছাড়া দিয়েছেন সেরা একাদশে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিতও।
“জামাল (ভূইয়া) শুরুর একাদশে থাকবে; এ ম্যাচে তাকে খেলাতেই হবে; এছাড়া আর কোনো উপায় নেই। এখনও সেরা একাদশ ঠিক করিনি; তবে অনেক পরিবর্তন আসতে পারে।”
২০০৩ সালের সাফল্যের পুনরাবৃত্তির আশা নিয়ে ত্রিভান্দ্রামে এসেছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে বিধ্বস্ত হলেও সে লক্ষ্য থেকে কোচের মতো অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম সরে আসেননি। সতীর্থদের অধিনায়ক জানিয়েও দিয়েছেন মালদ্বীপ ম্যাচের চাওয়াটা।
“এককভাবে খেলে কেউ দলকে জেতাতে পারবে না; আমাদের একটা দল হয়ে খেলতে হবে; সেরাটা দিতে হবে।”
“সবার সামনেই ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ আসে। আমাদের সামনেও দুটো সুযোগ আছে; প্রথমটি মালদ্বীপের বিপক্ষে এবং আমাদের এটা কাজে লাগাতে হবে,” যোগ করেন এই মিডফিল্ডার।
অধিনায়কের চাওয়া পূরণের প্রতিশ্র“তি দিয়েছেন জুয়েল রানা, জাহিদ, নাবীব নেওয়াজ জীবনরাও। আফগানিস্তান ম্যাচকে ‘দুর্ঘটনা’ হিসেবে দেখা জীবন বলেন, “আগের ম্যাচ নিয়ে ভেবে আর লাভ নেই; এখন আমাদের ঘুরে দাঁড়াতেই হবে।”
২০০৮ সালের সাফে প্রথম ও সর্বশেষ শিরোপা জেতা মালদ্বীপ এবার বাংলাদেশের মতোই মুকুট পুনরুদ্ধারের মিশনে এসেছে। ভুটানকে হারিয়ে ভালো শুরুও পেয়েছে দলটি। তবে জয়ের উচ্ছ্বাসে ভেসে যাচ্ছেন না দলটির কোচ রিকি হার্বার্ট। গ্রুপের দুই প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান ও বাংলাদেশকে সমীহ করেই কথা বলেন তিনি।
“আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ শক্তিশালী দল; এটা তাদের দলের খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞতার কারণে। তবে আমরাও প্রথম ম্যাচে জিতেছি; পুরো তিন পয়েন্ট পেয়েছি।”
শনিবার দিনের অপর ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে আসা আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে মালদ্বীপের কাছে হেরে সাফ ফুটবল শুরু করা নেপাল।