Tue. May 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

38খোলা বাজার২৪,শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৫: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মাসুদুল হক মাসুদের পক্ষে কাজ না করে প্রত্যক্ষভাবে বিরোধিতা করায় দুই দফায় ভূঞাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল হালিম অ্যাডভোকেটসহ আওয়ামী লীগের প্রথম সারির পাঁচ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাতে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে ভূঞাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল হালিম অ্যাডভোকেট, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আমিরুল ইসলাম তালুকদার বিদ্যুৎ ও অপর যুগ্ম আহ্বায়ক মিনহাজ উদ্দিনকে বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া তাদের আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক পরিচয়সহ দলীয় সকল পরিচয় প্রদান থেকে বিরত থাকারও নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর আগে দল মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে মেয়র পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় গত ১৪ ডিসেম্বর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আজহারুল ইসলাম ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম চঞ্চলকে বহিষ্কার করা হয়। টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহিনুল ইসলাম তরফদার বাদল, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক মিঞাসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত উপজেলা নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পান আব্দুল হালিম অ্যাডভোকেট।
এ সময় মাসুদুল হক মাসুদের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের সকল স্তরের নেতাকর্মী ভেদাভেদ ভুলে দলীয় প্রার্থী আব্দুল হালিম অ্যাডভোকেটের পক্ষে কাজ করেন। আসন্ন পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পান মাসুদুল হক মাসুদ। কিন্তু দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আজহারুল ইসলাম ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম চঞ্চল। উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম অ্যাডভোকেট, মো. আমিরুল ইসলাম তালুকদার বিদ্যুৎ ও মিনহাজ উদ্দিন দল মনোনীত প্রার্থী মাসুদুল হক মাসুদের পক্ষে কাজ না করে প্রত্যক্ষভাবে বিরোধিতা করছেন। এতে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝে স্পষ্ট বিভক্তির সৃষ্টি হয়েছে। যা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর জন্য বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে।