খোলা বাজার২৪,রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, পৌর নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের জরিপ মিথ্যা। তারা যতোই মিথ্যা জরিপ করুক লাভ হবে না। সত্যিকারের জরিপ হাতে রয়েছে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে পৌর নির্বাচনে ধানের শীষের ৮০ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হবে।
রবিবার দুপুরে রাজধানীর সুপ্রিম কোর্ট বার সমিতি মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সংগঠন বিএফইউজের দ্বিবার্ষিক সম্মেলন ও নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।
বেগম খালেদা জিয়া বলেন, পৌর নির্বাচনে ধানের শীষ অংশ নেয়ায় মানুষের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা বেড়ে গেছে। জনগণ এখন ধানের শীষে ভোট দেয়ার জন্য অপেক্ষা করছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য মিথ্যা জরিপের উল্লেখ করে বলেছে তারা ২০১টি পৌরসভায় বিজয়ী হবে। আমার কাছে জরিপের প্রকৃত তথ্য আছে। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হবে। দুর্নীতি হালকা করতেই তারা এ সব জরিপের কথা বলছে।
পৌরসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে খালেদা জিয়া বলেন, আমরা শুনেছি যে ভোট কেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। এটার লক্ষ্য পরিষ্কার। চুরি করতে এটি করতে চাইছে তারা। আমি সাংবাদিকদের বলবো, আপনারা ভোট কেন্দ্রে যাবেন, যা ঘটে তা প্রকাশ করবেন।
তিনি বলেন, হাসিনা-রকিবের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না তা প্রমাণের জন্যই নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। তারা যতোই চেষ্টা করুক মানুষ ধানের শীষের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, হাসিনা মার্কা এবং রকিব মার্কা নির্বাচন যাতে না করতে পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার রকিব উদ্দিনকে দালাল আখ্যা দিয়ে বলেন, নির্বাচন কমিশনে আরো কিছু দালাল আছে। তিনি নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় সেজন্য সবাইকে মাঠে থাকার আহ্বান জানান।
খালেদা জিয়া প্রশাসনের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। আওয়ামী লীগ যতোই মিথ্যা অপপ্রচার চালাক, সরকার পরিবর্তন হলে আপনাদের কারও কোনো ক্ষতি হবে না, কারো চাকরি যাবে না।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে বেগম খালেদা জিয়া বলেন, আজ প্রেসক্লাব দখল হয়েছে। দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই। একুশে টিভির চেয়ারম্যান আবদুস সালামকে কারাগারে রেখে সুকৌশলে তা দখল করা হয়েছে। অনেক গণমাধ্যম বন্ধ হয়ে গেছে। হাজারো সাংবাদিক বেকার হয়েছেন। কর্মক্ষেত্রে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নেই। বিরোধী মতের অনলাইন বন্ধ করে দেয়ার জন্য অনলাইন নিবন্ধন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তিনি সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান, শওকত মাহমুদ ও আব্দুস সালামের মুক্তি দাবি করেন।
খালেদা জিয়া বলেন, আপনারা বেঈমানদের চিহ্নিত করেন। বেঈমান-মীর জাফররা বেশি দিন টিকবে না। এর পরিণতি হবে ভয়াবহ। আগামীতে সাংবাদিকদের সুদিন আসবে।
তিনি বলেন, আমি কোনোদিন বেঈমানদের সঙ্গে হাত মেলাইনি, ভবিষ্যতেও মেলাবো না।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম আব্দুল্লাহ। সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদন পেশ করেন এম এ আজিজ। অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীসহ সাংবাদিক সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও সিনিয়র সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।