খোলা বাজার২৪,রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫: জাতিস্মরদের পূর্বজন্ম মনে রাখার অলৌকিক ক্ষমতা থাকে। প্রায় ২০ শতাংশ মার্কিনী পুনর্জন্মে বিশ্বাস করে। জাতিস্মরদের অস্তিত্ব মেনে নেওয়া মানে পূর্বজন্ম এবং পুনর্জন্মে বিশ্বাস করা। যাঁরা জাতিস্মরদের সন্দেহের চোখে দেখেন তাঁরা বলেন যে এই পূর্বজন্ম মনে রাখা স্বপ্ন ছাড়া আর কিছুই নয়। আবার অনেক বৈজ্ঞানিক বলেন যে পুনর্জন্মকে বিজ্ঞানসম্মতভাবে প্রমাণ করা সম্ভব। পৃথিবীর বহু স্থানে ছোট শিশুরা নিজেদের জাতিস্মর হিসাবে ঘোষণা করে। এদের বয়স সাধারণত দুই থেকে পাঁচ বছর হয়। অনেক সময় এরা, এদের ব্যবহারে, একরকম ভীতি প্রদর্শন করে। দেখা যায় যে ওই শিশুদের পূর্বজন্ম সংক্রান্ত বক্তব্যে ভীতির কারণ পাওয়া যায় ।
এবার মূল ঘটনায় আসি। আর পাঁচটা শিশুর মতোই খেলনা এরোপ্লেন ভালবাসত জেমস । কিন্তু একদিন মাকে অবাক করে দিল এই শিশু । তিন বছর বয়সেূ আদো আদো স্বরে বললূ প্লেনে বোমাও বেঁধে নিয়ে যাওয়া যায় । কিছুদিনের মধ্যে দুঃস্বপ্ন দেখা শুরু করল সে ।
রাতের ঘুমের মধ্যে সে দেখত যুদ্ধবিমান চালানোর স্বপ্ন । ভেসে আসত বোমা-গুলির কানফাটানো শব্দ । কয়েক বছর ধরে একই জিনিস চলার পরে জেমস লেইনিঙ্গারকে মনোবিদের কাছে নিয়ে গেলেন বাবা-মা । জানা গেলূ খুদে জেমস একজন জাতিস্মর । এই মার্কিন খুদের কথামতো আগের জন্মে সে ছিল মার্কিন নৌসেনা । কর্মরত ছিল নাতোমা নামে এক রণতরীতে ।
খোঁজ করে সেই রণতরীর সন্ধান পেলেন জেমসের বাবা । জেমস বলতূ আগের জন্মে সে ছিল জেমস হিউস্টন । সহকর্মী জ্যাক লারসনকে নিয়ে সে উড়ে গিয়েছিল প্রশান্ত মহাসগারের উপর দিয়ে । জাপানি সেনা তার বিমানকে গুলি করে নামায় লৌ জিমা এলাকায় ।
সবাইকে অবাক করে দিয়ে সামনে এলূ নাতোমা নামের রণতরীতে সত্যি কর্মরত ছিলেন জেমস হিউস্টন । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তিনি সহকর্মী জ্যাক লারসনকে নিয়ে উড়ে গিয়েছিলেন প্রশান্ত মহাসাগরের উপর দিয়ে । জাপানি সেনা সেই বিমান গুলি করে নামায় লৌ জিমায় !
নিহত হন জেমস । বেঁচে যান সহকর্মী জ্যাক । জীবিত অবস্থায় খুঁজেও পাওয়া যায় তাঁকে । সন্ধান মেলে জেমসের বোনেরও । তাঁর কাছে গিয়ে দেখা যায়ূ শুধু নামেই নয় । জাতিস্মর বালকের সঙ্গে চেহারাগত সাদৃশ্যও আছে তাঁর ভাইয়ের !
বালক জেমস লেইনিঙ্গারের ঘটনাকে পূর্বজন্ম বা পুনর্জন্মের প্রামাণ্য ঘটনা হিসেবেই স্বীকৃতি দেন মনোবিজ্ঞানীরা ।