Sat. May 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

50খোলা বাজার২৪,রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বেতন কাঠামো পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই বলে ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষকদের বেতন সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে শিগগিরই আবারও বেতন বৈষম্য নিরসন সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক হবে। তিনি আশা করেন যে শিগগিরই এ সমস্যা সমাধান হবে।
আজ রোববার শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন। এর আগে শিক্ষামন্ত্রী অর্থ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মাহবুব আহমেদের সঙ্গে শিক্ষকদের বেতন সমস্যা নিয়ে টেলিফোনে কথা বলেন।
বেতন ‘বৈষম্যের’ প্রতিবাদে কয়েক দিন ধরে চলা আন্দোলনের মধ্যেই অর্থমন্ত্রী গত বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, যে যা-ই বলুক, বেতনকাঠামো পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। তিনি শিক্ষক ও ব্যাংকারদের আন্দোলনকে ‘অযৌক্তিক’ বলে মন্তব্য করেন। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দাবিকে ‘অজ্ঞতাপ্রসূত’ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বৈষম্যের অভিযোগকে ‘খামাখা’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক সমিতিগুলোর জোট বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন আজ সংবাদ সম্মেলন করে হুমকি দিয়েছে, এ মাসের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়ার মতো কঠোর আন্দোলনে যাবেন তাঁরা। একই সঙ্গে দেশের প্রায় কটি সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক সমিতিও পৃথকভাবে সংবাদ সম্মেলন করে সিলেকশন গ্রেড বহাল ও শিক্ষকদের মর্যাদা রক্ষার দাবি জানিয়েছে।
এমন অবস্থায় শিক্ষামন্ত্রী আজ অর্থসচিবের সঙ্গে কথা বলেন। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অর্থসচিব শিক্ষকদের সমস্যা সমাধানে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন। মন্ত্রী আশা করেন, শিগগিরই শিক্ষকদের সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
এদিকে বেতন বৈষম্য নিরসন সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সুপারিশের কথা বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজশিক্ষকদের সমস্যা সমাধানে কিছু সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে নেওয়া হয়নি।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওই চিঠিতে বলা হয়, বর্তমানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকেরা তৃতীয় গ্রেডভুক্ত। পরবর্তী সময়ে নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করলে তাঁরা সিলেকশন গ্রেড পেয়ে গ্রেড-১-এর বেতন পান। জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫-এর সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বিলুপ্ত হওয়ায় নির্দিষ্ট নিময় মেনে গ্রেড-৩ ভুক্ত অধ্যাপকেরা গ্রেড-২ ও পরে গ্রেড-১-এর বেতন পাবেন। গ্রেড-১ ভুক্ত অধ্যাপকের সংখ্যা গ্রেড-২ ভুক্ত যত অধ্যাপক আছেন তাঁর ২৫ শতাংশের বেশি হতে পারবেন না। আর যেহেতু গ্রেড-২ ও গ্রেড-১-এ বেতনের বিষয়ের সঙ্গে সরকারের উল্লেখযোগ্য পরিমাণে আর্থিক সংশ্লেষ জড়িত, সে জন্য এই দুই গ্রেডে বেতন পাওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি কমিটির পূর্বানুমোদনক্রমে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় তা কার্যকর করতে পারবে।
আজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সংবাদ সম্মেলনেও বলা হয়, তাঁরা শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে কথা বলে জেনেছেন এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত বেতন বৈষম্য নিরসন সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি নেয়নি। তাঁরা অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওই চিঠিকে আইনের দৃষ্টিতে গুরুতর অপরাধ বলে মনে করছেন।