খোলা বাজার২৪,রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫: জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেছেন, যদি কেউ বলে মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়নি, তবে তাদের ঘৃণা ভরে প্রত্যাখান করা উচিত। এরকম বক্তব্য প্রদানকারীদের রাজনীতি করার অধিকার থাকতে পারে না। তিনি আজ বিকেলে সিলেটের ওসমানী নগরের ৭নং দয়ামীর ইউনিয়ন পরিষদে ‘নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে গণজমায়েত’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন। মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘তিনটি উদ্দেশ্যে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিলো- সমতা, সামাজিক ন্যায় বিচার ও মানব সত্ত্বার বিকাশ সাধন করা।
বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য নয়, মানবাধিকার রক্ষার জন্য।’ তিনি বলেন, জাতীয় জীবনে আমাদের অনেক অর্জন রয়েছে। নারী পুরুষ সকলে সেই অর্জনগুলোর সমান অংশীদার। দেশের জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী। এই নারী কে? আমার মা, স্ত্রী, কন্যা। নারীকে কোনরূপে খাটো করে দেখার অধিকার কারো নেই। ড. মিজানুর রহমান বলেন, ধর্মীয় বই পুস্তকেও নারীকে অনেক উঁচুতে স্থান দেয়া হয়েছে। যদি আমরা নিজেদের সভ্য বলে দাবি করি, তবে নারীর প্রতি সহিংস আচরণ প্রতিরোধ করতে হবে। তিনি বলেন, শুধু শারীরিক নয়, মানসিক নির্যাতনও প্রতিরোধ করতে হবে।
বাল্যবিবাহ সহিংসতারই বহিঃপ্রকাশ। যার বাল্যবিবাহ হয়, তার শৈশবকেই হত্যা করা হয়। দয়ামীর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যন আব্দুল হাই মোশাহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ওসমানী নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শওকত আলী, এডভোকেট মুজিবুল হক ও ফয়জুর রহমান ফয়েজ।