খোলা বাজার২৪, সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫ : শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, দেশের ২০ লাখ গৃহকর্মীর শ্রম অধিকার ও শ্রম মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় সরকার যে সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতিমালা করেছে তা শিগগিরই আইনে পরিণত করা হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে ও তাদের অধিকার রক্ষায় খুবই আন্তরিক।
জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি -২০১৫’ উপর এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। ‘গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্ক উদ্যোগে এবং বিশিষ্ট শ্রমিক নেত্রী শিরিণ আখতার এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মিকাইল শিপার, বিলসের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শ্রমিক নেতা মেসবাহ উদ্দীন আহমদ, বিলসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, গৃহকর্মী অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্কের আহবায়ক ড. হামিদা হোসেন ও সদস্য সচিব সৈয়দ সুলতান উদ্দীন আহমদ, জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক এডভোকেট সালমা আলী ও বিলসের কর্মকর্তা নাজমা ইয়াসমিন প্রমুখ।
প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, বিভিন্ন শ্রমজীবী সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের তথ্যানুযায়ী দেশে প্রায় ২০ লাখ গৃহকর্মী রয়েছে। প্রকৃত সংখ্যা নির্ধারণে ডাটাবেজ তৈরির কাজ এবং গৃহকর্মীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীনে মনিটরিং সেল গঠন করা হবে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মিকাইল শিপার বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশে গৃহ শ্রমিকদের জন্য আইন থাকলেও গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতিমালা নেই যাতে সবকিছু উল্লেখ আছে। বাংলাদেশ গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতিমালা অনুমোদন করে আইএলও কনভেনশন -১৮৯ অনুসমর্থনে এক ধাপ এগিয়ে থাকল।
আগামী সপ্তাহের মধ্যে ‘গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতিমালা গেজেট আকারে প্রকাশের পর ‘গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি -২০১৫’ আলোকে গৃহকর্মীদের ডাটাবেজ তৈরি ও মনিটরিং সেলের কাজ শুরু হবে। এই নীতিমালা বাস্তবায়নে গণসচেতনতা এবং প্রচার-প্রচারণা বৃদ্ধি করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। উল্লেখ্য, গত ২১ ডিসেম্বর ‘গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি -২০১৫’ মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হয়।
