খোলা বাজার২৪, সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫ : নির্বাচনী পৌর এলাকাগুলোতে ত্রাস সৃষ্টি করে দলীয় মেয়র প্রার্থীদের ভোট থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
সোমবার এক আলোচনা সভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, “আজ প্রতিটি পৌরসভায় ত্রাস-সন্ত্রাসের এমন একটা অবস্থা সৃষ্টি করেছে যে, বহু জায়গা থেকে আমাদের মেয়রপ্রার্থীরা জীবনের ভয়ে নির্বাচন ছেড়ে দিয়েছে।”
এবিষয়ে সোমবারের সাতকানিয়ার পৌরসভার পরিস্থিতিকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, বিএনপির প্রার্থীদের উপর হামলা ও গুলি চালানো হচ্ছে; নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়েছে।
“সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকারের কাজ- মিথ্যা মামলার নামে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার। ইতিমধ্যে ছয় হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
সকালে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনের সেমিনারকক্ষে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সামনে রেখে এ আলোচনা সভা হয়।
বুধবার ২৩৪টি পৌরসভায় অনুষ্ঠেয় নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে তা মোকাবেলায় সাহস নিয়ে দাঁড়াতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
“পরশু পৌর নির্বাচনে আপনারা নিজ নিজ এলাকায় যান; সাহস নিয়ে এগিয়ে আসনু। ভোটকেন্দ্রে যাবেন, ভোটকে রক্ষা করুন- দেশনেত্রী এই আহ্বান জানিয়েছেন।”
‘গণতন্ত্রের মুখোশ পড়ে দেশ একদলীয় শাসনব্যবস্থার দিকে চলেছে’ মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব দাবি করেন, সাংবাদিকরা মুক্তভাবে লিখতে পারেন না।
উদাহরণ হিসেবে নির্বাচন কমিশনের অনুমোদিত পৌর নির্বাচন নিয়ে বিএনপির বিজ্ঞাপন গণমাধ্যমে প্রচার করতেনা পারার কথা তুলে ধরেন তিনি।
“সেই বিজ্ঞাপনটি প্রাইভেট চ্যানেলে দিতে পারছি না, তারা সাহস করছেন না। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ছাপাতে সাহস করছে না। কি নিদারুণ একটা অবস্থার মধ্যে গণতন্ত্র এসে পড়েছে!”
কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে যুব দলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কৃষক দলের সহসভাপতি এম এ তাহের, নাজিম উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তকদির হোসেন মো. জসিম ও জামাল উদ্দিন খান মিলন বক্তব্য দেন।