Sat. May 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

52খোলা বাজার২৪, সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫ : ভারতে চলন্ত ট্রেনে সেনাবাহিনীর কামরায় গণধর্ষণের শিকার হয়েছে দমদমের এক নাবালিকা। বাড়ি থেকে পালাতে চেয়েছিল মেয়েটি। লুধিয়ানা যাবে বলে হাওড়া স্টেশন পৌঁছেছিল। হাতের কাছে পেয়ে যায় অমৃতসরমুখী একটি ট্রেন। কিন্তু, ট্রেনের কোনও কামরাতেই জায়গা নেই। কাজেই সে এক কামরা থেকে অন্য কামরায় খুঁজে বেড়াচ্ছিল বসার জায়গা। শেষে একটা কামরা একটু ফাঁকা পায়। সে দিকে তাকাতেই কামরায় থাকা সেনা-জওয়ানরা তাকে উঠে আসতে বলে। কামরাতে উঠেও যায় নাবালিকা ওই মেয়েটি। এর প্রায় ৬ ঘণ্টা পর সেনা-জওয়ানদের জন্য সংরক্ষিত ওই কামরা থেকে ঝাড়খণ্ড রেল পুলিশ উদ্ধার করে তার অচৈতন্য দেহ। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ট্রেনের সেনা-কামরাতেই সংঘবদ্ধধর্ষণ করা হয়েছে ওই নাবালিকাকে। আপাতত স্থানীয় মধুপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে মেয়েটি। এই ঘটনায় মঞ্জরিশ ত্রিপাঠি নামে এক সেনাসদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনুসন্ধান চলছে আরও দুই সেনাসদস্যের।
রেল পুলিশ সূত্রে খবর, কামরায় ওঠার কিছু ক্ষণের মধ্যেই ওই সেনাসদস্যরা একটা বোতলে পানীয় খেতে দেয় নাবালিকাকে। তার পরেই অচৈতন্য হয়ে পড়ে সে। ওই পানীয়ে মদ মেশানো ছিল। অন্য মতও শোনা যাচ্ছে। তাঁরা বলছেন, পানীয়ের মধ্যে মাদক মেশানো ছিল। ওই বেহুঁশ অবস্থাতেই তাকে গণধর্ষণ করা হয়।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রথম অভিযোগটা করেছিল কলকাতার এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। রেল পুলিশ (জিআরপি)-এর কাছে এক নাবালিকার ছবিসহ ওই অভিযোগে তারা জানায়, দমদম এলাকার এই মেয়েটি বাড়ি থেকে পালিয়ে লুধিয়ানা যাচ্ছে। এমনকী, সে যে আপ অমৃতসর এক্সপ্রেসে চেপে পালাচ্ছে এই কথাও জানানো হয়। এর পরেই নড়েচড়ে বসে রেল পুলিশ। রবিবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে হাওড়া থেকে ছেড়ে যাওয়া অমৃতসরমুখী ওই ট্রেন জুড়ে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। কিন্তু, কোথাও ওই নাবালিকার খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এর পর এ রাজ্যের রেল পুলিশের পক্ষ থেকে ঝাড়খণ্ড পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। নাবালিকার ছবিও পাঠানো হয়। ঝাড়খণ্ড পুলিশ এবার সে রাজ্যের জিআরপিকে ওই বার্তা পাঠায়। রেল রক্ষী বাহিনী (আরপিএফ)-র সঙ্গে যৌথ ভাবে রেল পুলিশ ফের তল্লাশি শুরু করে অমৃতসর এক্সপ্রেসে। শেষে মধুপুরের কাছে এসে সব কামরা পেরিয়ে সেনা-জওয়ানদের জন্য সংরক্ষিত কামরায় এক নাবালিকার সন্ধান মেলে। মেঝেতে পড়ে থাকা অজ্ঞান ওই নাবালিকার সঙ্গে বার্তায় পাঠানো ছবি মিলিয়ে দেখা হয়। ওই কামরায় তখন মঞ্জরিশ ত্রিপাঠি নামে এক সেনাসদস্য ছিলেন। মুখ মিলে যাওয়ায় ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে রেল পুলিশ স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। রাত তখন প্রায় সাড়ে ৮টা।
হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে ওই নাবালিকাকে সংঘবদ্ধধর্ষণ করা হয়েছে। মেডিক্যাল পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও এসে পৌঁছায়নি।