খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৫: একটি লাড্ডুর আকার বা ওজন আর কতই বা হতে পারে। কিন্তু গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে লাড্ডুর নাম যদি ওঠে, তবে কল্পনা করুন ওজন কত হতে পারে! ওই লাড্ডুর ওজন ৮ হাজার ৩৬৯ কেজি। লাড্ডু বানাতে খরচ হয়েছে সাড়ে ১৬ লাখ ভারতীয় রুপি। এত বড় লাড্ডু বানানোর জন্য গিনেস বুকে নাম উঠেছে ভারতের একটি মিষ্টির দোকানের।
পিটিআইয়ের খবরে বলা হয়েছে, ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে গত সেপ্টেম্বর মাসে গণেশ চতুর্থী উৎসব পালিত হয়। প্রতিবছরের মতো এবারও বিশালাকার একটি লাড্ডু বানায় শ্রীভক্ত অঞ্জনা সুইটস নামের স্থানীয় একটি মিষ্টির দোকান। ৮ হাজার ৩৬৯ কেজি ওজনের এই লাড্ডু বানিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের ওই দোকানটি।
২০১১ সালে ৫ হাজার ৫৭০ কেজি, ২০১২ সালে ৬ হাজার ৫৯৯ কেজি, ২০১৩ সালে ৭ হাজার ১৩২ কেজি এবং গত বছর ২০১৪ সালে ৭ হাজার ৮৫৮ কেজি লাড্ডু বানিয়ে রেকর্ড গড়েছিল মিষ্টির দোকানটি। এবার বানিয়েছে ৮ হাজার ৩৬৯ কেজি ওজনের লাড্ডু।
শ্রীভক্ত অঞ্জনা সুইটসের মালিক সালাদি ভেংকটেশ্বর রাও বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যায় আমরা পঞ্চমবারের মতো গিনেস রেকর্ডের সার্টিফিকেট পেয়েছি। আমাদের কর্মচারী, ভগবান গণেশের আশীর্বাদ এবং লোকজনের সহায়তায় এ বছরও আমরা রেকর্ড গড়লাম।’
কলকাতা থেকে প্রথম আলোর প্রতিনিধি অমর সাহা জানিয়েছেন, এ বছরের ১৫ সেপ্টেম্বরে ১৫ জন কারিগর ১২ ঘণ্টা কাজ করে বিশালাকার ওই লাড্ডুটি বানিয়েছেন। এতে ব্যয় হয়েছে সাড়ে ১৬ লাখ রুপি। ২ হাজার ৯০০ কেজি চিনি, ২ হাজার ৩০০ কেজি ডাল, ১ হাজার ১০০ কেজি ঘি, ৭০০ কেজি মিছরি, ৮০০ কেজি কাজু-কিশমিশ, ৪০ কেজি এলাচ এবং ১০ কেজি কর্পূর দিয়ে লাড্ডুটি বানানো হয়েছে।
এই লাড্ডুটি ছাড়া আরও একটি লাড্ডু তৈরি করেছে ওই মিষ্টির দোকানটি। সেটির ওজন ৬ হাজার ৩০০ কেজি। লাড্ডুটি পাঠানো হয়েছিল বিজয়ওয়াড়ার ডান্ডি গণেশ সমিতির মন্দিরে।
সালাদি ভেংকটেশ্বর রাও বলেছেন, ভবিষ্যতে ১০ টন ওজনের একটি লাড্ডু বানানো তার লক্ষ্য।