Sun. May 4th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
পৌর ভোট: সিইসিকে নালিশ আ. লীগের, বিএনপি চায় ‘শক্ত’ ইসি
পৌর ভোট: সিইসিকে নালিশ আ. লীগের, বিএনপি চায় ‘শক্ত’ ইসি

খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৫: পবপ্রচার শেষে পৌর ভোটের আগের দিন নির্বাচন কমিশনে গিয়ে নানা অভিযোগ জানিয়ে এসেছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি।
বুধবার দুপুরে বিএনপির প্রতিনিধি দল যাওয়ার পর বিকালে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের সঙ্গে দেখা করেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ অভিযোগ করেছেন, বিএনপি ‘মিথ্যাচারের’ উপর ভিত্তি করে ইসি ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে ‘বিমাতাসুলভ’ আচরণ করছে।
অন্যদিকে ভোটের ফল পাল্টে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে ইসিকে শক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।
আইন সংশোধনের পর বুধবার একযোগে বাংলাদেশের ২৩৪ পৌরসভায় যে ভোট হচ্ছে, তাতে সাত বছর পর নৌকা ও ধানের শীষের লড়াই হবে বলেই আভাস মিলছে।
স্থানীয় সরকারের এই ভোট নিয়ে বড় দুই রাজনৈতিক দলই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করে আসছে। ভোটের হাওয়ায় বিভিন্ন স্থানে দুই দলের সংঘাত-সংঘর্ষও হয়েছে।
সিইসির সঙ্গে দেখা করে ক্ষমতাসীন দলের নেতা হানিফ সাংবাদিকদের বলেন, “নির্বাচনে কমিশন বিএনপির প্রতি সদয় আচরণ করতে গিয়ে আমাদের উপর বিমাতাসুলভ আচরণ করছে।
“বিএনপি ইসিতে মিথ্যাচার করে যে অভিযোগ করছে, তার ওপর ভিত্তি করে নির্বাচন কমিশন যে যে ব্যবস্থা নিয়েছে, তাতে আমাদের উপর অন্যায় করা হয়েছে।”
ইসি ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে- তার ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, “বিএনপি কয়েক জায়গায় তাদের অন্তঃকোন্দলকে সরকারের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছে, ইসির তার উপর ভিত্তি করে ব্যবস্থা নিচ্ছে।”
সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপি পৌর ভোটে শেষ পর্যন্ত থাকবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ও প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগ নেতা হানিফ।
প্রতিনিধি দলে তার সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের কৃষিবিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক বদিউজ্জামান ভুইঁয়া ডাবলু, দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ।
নির্বাচন কমিশন নির্বাচন কমিশন
বিএনপি বরাবরই অভিযোগ করে আসছে, সরকারের ‘আজ্ঞাবহ’ ইসি তাদের সব অভিযোগ এড়িয়ে যাচ্ছে।
সিইসির সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে মঈন খান সাংবাদিকদের বলেন, “সত্যিকার অর্থে যারা ভোট দিচ্ছেন, সেই ভোটারদের মতামতে যদি ফলাফল হয়, তাহলে তা আমরা মেনে নেব এবং স্বাগত জানাব।”
তবে তা হবে কি না, সে নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন সাবেক এই মন্ত্রী।
“কমিশনকে বলেছি, ভোটাররা যেন নিসঙ্কোচে তাদের খুশিমতো ভোট দিতে পারেন, ফলাফল যেন সেই ভিত্তিতে হয় এবং ফলাফল শিট যাতে কোনো নির্দেশে নির্ধারিত না হয়।”
“নির্বাচনে ভোটার কত শতাংশ ভোট দিল, সেই সংখ্যাটি যেন বজায় থাকে। সেটি যেন বাড়ানো-কমানোর কোনো প্রচেষ্টা না করা হয়।”
বিএনপি এই নির্বাচনের প্রচারে সমান সুযোগ পায়নি বলেও দাবি করেন মঈন খান।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির তিনজন নিহত এবং তিনশর বেশি আহত এবং কয়েক হাজার কর্মী বন্দি রয়েছেন দাবি করে তিনি বলেন, “বিভিন্ন জায়গায় আমাদের প্রার্থীদেরও হুমকি-ধমকিও দিচ্ছে।”
নির্বাচনী সহিংসতার জন্য ক্ষমতাসীনদেরই দায়ী করেন বিএনপি নেতা।
মঈন খানের সঙ্গে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সুজাউদ্দিন ও আবদুল হালিম, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জান রিপন, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।