Sun. May 4th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

38খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৫: পৌরসভা নির্বাচনে জনগণ যাতে সুষ্ঠুভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে তার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ। এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় সংসদের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, স্থানীয় সরকার ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা এবং সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, ফখরুল ইমাম, ইয়াহিয়া চৌধুরী এবং রওশন আরা মান্নান উপস্থিত ছিলেন। বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, “আমরা নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করছি, মানুষ যেন শান্তিপূর্ণভাবে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে, সেই পরিবেশ বজায় রাখার জন্য। আশাকরি শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হবে।”
তনি বলেন, “নির্বাচন কমিশনকে সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে হবে। আশা করি তাঁরা পারবেন।” সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রওশন এরশাদ বলেন, “নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেসব সহিংসতা হচ্ছে সেটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এটা নির্বাচনের সময় হয়েই থাকে।” তিনি বলেন, “যেসব ঘটনা ঘটছে তার বেশির ভাগই আওয়ামী লীগ ও তাদের বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে এবং বিএনপির প্রার্থী ও তাদের বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে। আমাদের কোনো প্রার্থীর সঙ্গে কোথাও কোনো দ্বন্দ্ব ও সংঘর্ষ হয়নি।”
রওশন এরশাদ বলেন, “আমাদের জাতীয় পার্টির কিছু প্রার্থী আছেন, কিছু প্রার্থী শেষ পর্যন্ত টিকে নাই। আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে অনেক বাদ পড়েছেন। এ ছাড়া কিছু প্রার্থীর হলফনামায় ভুল থাকার কারণেও আমাদের প্রার্থী টিকতে পারেননি।” জয়ী হওয়ার জন্যই তাঁদের প্রার্থীরা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন বলে জানান তিনি। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ নির্বাচন কমিশনকে মেরুদণ্ডহীন বলার কারণ জানতে চাইলে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, “পার্টি ও পার্টির কর্মীদের চাঙ্গা করতেই উনি এসব কথা বলেছেন।
এটা পার্টি চালাতে হলে বলতে হয়। সেটা উনার অভিমত। আমরা মনে করি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।” নির্বাচনে হার, জিত যাই হোক জাতীয় পার্টি নির্বাচনে থাকবে বলে তিনি জানান। রওশন এরশাদ বলেন, “আমরা সবাই মুক্তিযোদ্ধা। আমরা সবাই বাংলাদেশ চেয়েছি। তাহলে এতদিন পর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক কেন? এ বিতর্ক হলে তো আমাদের অস্তিত্বই থাকে না।” তিনি বলেন, “সংসদে আমি বলেছি বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কোনো বির্তক হবে না। এরপর কিন্তু এসব নিয়ে বিতর্ক অনেক কমে গেছে। এগুলো মীমাংসিত ইস্যু।” এসব বিষয়ে বিতর্ক না করার আহ্বান জানান তিনি।