খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৫: আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার কমিটি’র আহ্বায়ক ও নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, শুধুমাত্র গুটি কয়েক যুদ্ধাপরাধীর ফাসিইঁ যথেষ্ট নয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধীদের রাজনীতি থেকে বিদায় করতে হবে। তিনি বলেন, ১৯৫ জন পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও পাকিস্তানীদের বাংলাদেশ থেকে লুটে নেয়া সম্পদের হিস্যা আমরা চাই। এ জন্য দেশে- বিদেশে জনমত গড়ে তুলতে হবে।
মন্ত্রী আজ তোপখানা রোডের বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়শনের ভবনে শহীদ ডা: মিলন হলে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণ বিচার কমিটি’র সাথে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের(স্বাচিপ) এক মত বিনিময় সভায় এ কথা বলেন। এতে বক্তব্য রাখেন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সহ সভাপতি ডা: জামালউদ্দিন, ডা: অধ্যাপক জাকারিয়া, শহীদ সন্তান ডা: রোকেয়া সুলতানা,স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহা সচিব ডা: এমএ আজিজ, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেক, রোকেয়া প্রাচী প্রমূখ। এতে সভাপতিত্ব করেন স্বাচিপের সভাপতি ডা: ইকবাল আসলান। শাজাহান খান বলেন, দলে দলে ভোট কেন্দ্রে যাবার জন্য বেগম জিয়া আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি কাদের আহ্বান জানিয়েছেন ।
নিশ্চয়ই তার সন্ত্রাসী বাহিনীকে ভোট কেন্দ্রে যেতে বলেছেন। তারা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে কি করবেন আমরা তা জানিনা। ঐ সমস্ত সন্ত্রাসীদের কি ভাবে প্রতিহত করতে হয় আমরা তা জানি। তিনি বলেন,মুক্তিযুদ্ধের চেতনা একদিনে আসেনি। বঙ্গবন্ধুর আজীবনের লালিত স্বপ্ন মুক্তিযুদ্ধের চেতণা। এ চেতণাকে ধারন করে আমরা এগিয়ে যাব। শাজাহান খান বলেন, জামাত নেতা মুজাহিদের ফাঁসির সময় পাকিস্তান সংসদে নিন্দা প্রস্তাব আনা হয়েছে। কাদের মোল্লার ফাসিঁর পর পাকিস্তান জামাত মিছিল করেছে। আর সাকা চৌধুরীর ফাসির আগে পাকিস্তানের ক্রীকেটার এমরান খান ও জাতি সংঘের সেক্রেটারী জেনারেল বান কি-মুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফোন ও চিঠি পাঠিয়েছেন। এমরান খান হচ্ছে বাংলাদেশের গণ হত্যার নায়ক জেনারেল নিয়াজীর ভাইয়ের ছেলে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের পাকিস্তানী দূতাবাস থেকে জঙ্গি এবং জাল টাকা ছড়ানো হতো তারা দোষী বলে পাকিস্তান তাদের এ দেশ থেকে সরিয়ে নিয়েছে।
বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি বলেন, বিএনপি নাকি রাস্তায় বেরোতে পারে না। তাহলে এরশাদ সাহেবের সময় দেয়া কার্ফুর সময় আমরা রাস্তায় বেড়িয়ে ছিলাম কিভাবে। তিনি পকিস্তানী অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সজাগ থাকার জন্য চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানান। আগামী ৩ জানুয়ারী ৩টায় শাপলা চত্বরে সমাবেশ ও মিছিল ও ৬ জানুয়ারী জামাত নেতা মতিউর রহমান নিজামীর আপীল বিভাগের রায়ের দিন গণঅবস্থানের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।