Sat. Mar 15th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

28খোলা বাজার২৪,বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫: ইরাকের আনবার প্রদেশের সরকারের প্রধান কার্যালয়ে সে দেশের নিরাপত্তাবাহিনী জাতীয় পতাকা তুলে ধরেছে। দীর্ঘদিন ধরে তীব্র লড়াইয়ের পর ইসলামিক স্টেটের (আইএস) কাছ থেকে সরকারি সৈন্যরা শহরটিকে পুনরায় দখল করে নিয়েছে। এর ফলে ইরাকে ইসলামিক স্টেট বেশ কোনঠাসা হয়ে পড়েছে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে গ্রামের কিছু এলাকায় তারা এখন রয়েছে। এছাড়া যুদ্ধ বিধ্বস্ত শহরগুলোতেও তাদের সামান্য কিছু তৎপরতা আছে।
তবে শহরাঞ্চলের কিছু জায়গায় আইএসের কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে। এসব এলাকায় আতœঘাতি গাড়ি বোমা হামলা চালানোর মতো সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না। তবে আগে তাদের যে শক্ত অবস্থান ছিল সেটি আর তারা আর ফিরে পাবে বলে মনে হয় না। রামাদি শহরের উপর থেকে আইএসের নিয়ন্ত্রণ হারানোর বিষয়টি অনেকটা নিশ্চিতই ছিল।
ইরাকের সরকারি বাহিনী যাতে মসুল শহর আক্রমণ করতে না পারে সেজন্য রামাদি শহর থেকেই তারা প্রতিরোধ গড়ে তুলতো। আইএসের আরেকটি শক্ত ঘাটি হচ্ছে মসুল। এর আগে ২০১৩ সালে ফালুজা শহরের নিয়ন্ত্রণ হারায়। রামাদি শহরের নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর আইএস এখন বুঝতে পারছে পরের লড়াই হবে মসুলে শহরে। রামাদি শহরের শহরের উপর নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাবার জন্য আইএস হয়তো আরেকবার চেষ্টা করতে পারতো।
কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা সফল হবে না কারণ ইরাকের সরকারী বাহিনী এখন মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলার সহায়তা নিয়ে এগুচ্ছে। ২০১৬ সালের প্রথম দিকে ইরাকের সরকারী বাহিনী আইএসের হাত থেকে মসুল শহর ছিনিয়ে নেয়ার লড়াই শুরু করবে।
রামাদি শহর দখলের পর ইরাকের সরকারী বাহিনী আইএসের বিরুদ্ধে রণকৌশল ভালো মতোই শিখেছে। তারা এখন জানে আইএসকে কিভাবে পরাস্ত করতে হবে। কারণ তাদের এখন মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলার সহায়তাও পাচ্ছে।
মসুল শহরের ক্ষেত্রে শিয়া-সুন্নি রাজনীতি একটি বড় বিষয়। মসুল শহরটি সুন্নি অধ্যুষিত। শিয়া যোদ্ধাদের সেখানকার অধিবাসীরা বিদেশী দখলদার হিসেবেই বিবেচনা করে। ইরাকি বাহিনী যদি আইএসের কাছ থেকে রামাদি শহর দখল করতে না পারতো তাহলে মসুলের দিকে অগ্রসর হওয়া তাদের জন্য বেশ কঠিন হয়ে পড়তো।