খোলা বাজার২৪,বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫: দলীয় মার্কায় প্রথমবারের মতো আয়োজিত পৌর নির্বাচনে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ, কেন্দ্র দখলের চেষ্টা ও অনিয়মের অভিযোগ এলেও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সন্তুষ্ট নির্বাচন কমিশন। আজ রবিবার সকাল ৮টায় ২৩৪ পৌরসভায় ভোট শুরুর পর বেলা ২টা পর্যন্ত কত ভোট বাক্সে পড়েছে তার কোনো হিসাব না দিতে পারলেও নির্বাচন কমিশনার মো. আবু হাফিজ বলেছেন, উপস্থিতি নিয়েও তারা সন্তুষ্ট। ওই সময় পর্যন্ত অন্তত ২০টি পৌরসভায় গোলযোগের খবর পাওয়া গেছে, সাতকানিয়া পৌরসভায় ভোটে কেন্দ্রের দেড় কিলোমিটার দুরে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন একজন। এর বাইরে অধিকাংশ এলাকায় শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে মন্তব্য করে মো. আবু হাফিজ বলেন, প্রধান দুই দলের পাল্টাপাল্টি অভিযোগের চেয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাটাকেই তারা বড় হিসেবে দেখছেন।
আমরা কোনো অভিযোগ পাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিচ্ছি। বেলা দেড়টা পর্যন্ত ১৪টি কেন্দ্র স্থগিত করা হয়েছে। আমরা চাই নির্ভয়ে কেন্দ্রে আসুক ভোটাররা। পরিবেশ স্মুথ রাখতে চাই। এ জন্য আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি মনিটর করা হচ্ছে। প্রথম চার ঘণ্টায় কত শতাংশ ভোট পড়েছে জানতে চাইলে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, এবার দলীয় ভোট হচ্ছে, ভোটার উপস্থিতি একটু বেশিই থাকবে। সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদেও প্রার্থীরা আছেন। ভোটের হার ভালোই হবে। নারী ভোটারের উপস্থিতিও বেশ। তবে এ মুহূর্তে এ নিয়ে খোঁজ নিচ্ছি না আমরা। আইন-শৃঙ্খলাটাই এখন মুখ্য। সাতকানিয়ায় একজন নিহত হওয়ার বিষয়টি অন্তর্দ্বন্দ্ব কি-না তা খোঁজ করে দেখার পরামর্শ দেন তিনি।
আবু হাফিজ বলেন, এখন পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে আমরা সন্তুষ্ট। দুটি দলও আমাদের কাছে এসেছে, তাদের কথাও শুনেছি, অভিযোগের বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছি। তারাও ভালোভাবে দেখছে। তবে ভালোভাবে শেষ করতে পারলেই সন্তুষ্টিটা কাজে আসবে। ইসি কর্মকর্তারা জানান, ২০০৮ সালের ৯ পৌরসভা নির্বাচনে সর্বোচ্চ ৯৩ শতাংশ ভোট পড়েছিল। ২০১১ সালে চার ধাপের পৌর ভোটে বাক্সে পড়েছিল ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ ভোট। দেশে গত নয়টি পৌরসভা নির্বাচন ছিল নির্দলীয়। দেশের ৩২৩ পৌরসভার মধ্যে ২৩৪টিতে এবারই প্রথম দলীয়ভাবে মেয়র পদের ভোট হচ্ছে।