খোলা বাজার২৪,বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫: জিম্বাবুয়ে সিরিজ শুধু টি-টোয়েন্টির হচ্ছে, তা অনেকটাই নিশ্চিত। ম্যাচ তিনটি হবে নাকি পাঁচটি, সিরিজের সূচি—এগুলোও চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ার কথা দু-এক দিনের মধ্যে। গত কয়েক দিন ধরে কাটানো বিশ্রামের শেষ প্রান্তে এসে তামিম ইকবালের অপেক্ষা এখন সেসব জানতেই। সামনে টি-টোয়েন্টির মেলাই যেন বসছে। জিম্বাবুয়ে সিরিজ, এরপর পাকিস্তান সুপার লিগ, টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপের পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও। বিপিএলে ব্যাট হাতে বেশ সফল তামিম টি-টোয়েন্টির এই মেলার ভেলায় ভাসতে প্রস্তুত।
বাংলাদেশ ক্রীড়া সাংবাদিক সংস্থা (বিএসজেএ) আয়োজিত প্রাণ ফ্রুটো-বিএসজেএ মিডিয়া কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের জার্সি ও ট্রফি উন্মোচন এবং ড্র অনুষ্ঠানে বুধবার বিশেষ অতিথি হয়ে এসেছিলেন তামিম। অনুষ্ঠান শুরুর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আড্ডায় বারবারই জানতে চাচ্ছিলেন, জিম্বাবুয়ে সিরিজের সূচি চূড়ান্ত হয়েছে কি না। বিওএ ভবনের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়ও ঘুরেফিরে এল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের আসন্ন ব্যস্ত মৌসুমের কথা।
তামিম বলছিলেন, ‘৩ জানুয়ারি থেকে আমরা সবাই আবার নিজেদের প্রস্তুত করা শুরু করব। আমাদের পুরো ফোকাস থাকবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট নিয়ে। সামনে আমাদের যে সব ম্যাচ আছে সেগুলো সব টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের। আমাদের প্রস্তুতিও সেভাবেই হবে।’
নতুন বছরে তামিমরা টি-টোয়েন্টি খেলবেন দুবাইয়েও। ৪ থেকে ২৩ ফেব্র“য়ারি পাকিস্তানের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টির আসর পিএসএলে খেলবেন বাংলাদেশের তামিম, সাকিব, মুশফিক ও মুস্তাফিজ। এই টুর্নামেন্ট নিয়ে এখনই বেশ রোমাঞ্চিত এই বাঁহাতি ওপেনার, ‘যতটুকু শুনছি, যতটুকু দেখছি খুবই ভালো আয়োজন। দুবাইয়ে খেলা হবে। আমি কখনো দুবাইয়ে খেলিনি। সে জন্যই বেশি ভালো লাগছে।’
জিম্বাবুয়ে সিরিজ, এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ২৭ জনের প্রাথমিক দল নিয়ে জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু হওয়ার কথা ৩ জানুয়ারি। বিপিএলের পর থেকে তার আগের সময়টা ক্রিকেটাররা কাটাচ্ছেন বিশ্রামে।
তামিমের দৃষ্টিতে কয়েকটা দিন এ রকম নির্ভার কাটানো খুব জরুরি ছিল ক্রিকেটারদের জন্য। ২০১৫-এর মতো সামনের বছরটাকেও সাফল্যের রঙে রাঙাতে এটা খেলোয়াড়দের দেবে নতুন প্রাণশক্তি। বললেন, ‘আমার মনে হয়, গত পাঁচ বছরে আমার এই পরিমাণ ক্রিকেট খেলিনি, যে পরিমাণ ক্রিকেট এই বছর খেলেছি। বিশ্রামটা তাই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি নিশ্চিত সবার মধ্যে ভালো খেলার ক্ষুধাটা থাকবে। সবাই চাইবে আগামী বছরও ২০১৫ সালের মতো ভালো ক্রিকেট খেলতে।’
ফেব্র“য়ারি-মার্চে হওয়া বিশ্বকাপের আগে থেকেই রানের খরা যাচ্ছিল তামিমের ব্যাটে। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৫ রানের ইনিংসটা বাদ দিলে বিশ্বকাপেও পার করেছেন হতাশাজনক সময়। তবে দেশে ফিরে পাকিস্তান সিরিজে করলেন পর পর দুই সেঞ্চুরি। এরপর তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, বিপিএল—সবখানেই দারুণ খেললেন তামিম। তাঁর কাছে অবশ্য ‘প্রত্যাবর্তন ইনিংসের’ মর্যাদা পাচ্ছে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে নেলসনে খেলা ৯৫ রানের ইনিংসটাই, ‘বিশ্বকাপেই আমি রানে ফিরেছি। বিশ্বকাপের আগে বাজে সময়ের মধ্যে ছিলাম। আমি জানি এই ধরনের সময় আবার আসবে। তখন হয়তো কাজগুলো আমার জন্য আরও সহজ হয়ে যাবে।