খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫: মোহাম্মদ আমির স্পট ফিক্সিংয়ের অপরাধে ৫ বছর ছিলেন নির্বাসনে। কিন্তু এখনো তিনি পাকিস্তানে তার অনেক প্রতিযোগীর চেয়ে ভালো! কথাটার ওজন আছে। আর এই কথাটা বলেছেন খোদ পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচক হারুন রশিদ। আমিরের মধ্যে একজন পরিপূর্ণ আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়ের সব গুন এখনো বিদ্যমান। হতে পারেন পরিপূর্ণ অল রাউন্ডারও। নির্বাচকদের প্রধান যখন এই কথা বলেন তখন আমিরের জন্য পাকিস্তান জাতীয় দলের দরজা তো খুললো বলে! গত সেপ্টেম্বরেই আইসিসির দেয়া নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে আমিরের। ২৩ বছরের এই ফাস্ট বোলার এখন জাতীয় দলের ফিটনেস ক্যাম্পে আছেন। জাতীয় দলে বিবেচিত হচ্ছেন। আর আমিরের ক্রিকেট সামর্থের ওপর চোখ রেখে রশিদ বলেছেন, “নির্বাচক হিসেবে আমরা দেখি সামর্থ, নৈপুণ্য, ফর্ম, ফিটনেস ও পারফরম্যান্স।
নিউজিল্যান্ড সফরে তাকে বিবেচনা করার আগে আমরা এর সব বিবেচনায় এনেছি। গত ৫ বছরে যারা খেলেছে তাদের বেশির ভাগের চেয়ে সে এখনো ভালো। তাকে আমরা ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করতে দেখেছি। এখন তাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিবেচনা করতে চাই, দেখতে চাই কতোটা সে দিতে পারে।” ২০১০ থেকে আমিরের নিষেধাজ্ঞার সময়টাতে পাকিস্তানের সব ধরণের ফরম্যাটে মোট ১৪ জন ফাস্ট বোলারের অভিষেক হয়েছে। এর মধ্যে বোলিং অল রাউন্ডাররাও আছেন। এই সময়ে কেবল ওয়াহাব রিয়াজ নিজের পাকা জায়গা করতে পেরেছেন। বাঁ হাতি সিমার জুনাইদ খান আলোচনায় এসেও পিছিয়ে পড়েছেন। গত জুন থেকে পাকিস্তান দলে নেই। রাহাত আলি কাজের খেলোয়াড় হলেও দলে নিশ্চিত না।
ইমরান খান ও মোহাম্মদ ইরফানের ইনজুরি সমস্যা লেগে থাকে। সেপ্টেম্বরে নিষেধাজ্ঞা কাটলেও গত মার্চ থেকে খেলার সুযোগ পেয়েছেন আমির। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করার পর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে ৯ ম্যাচে নিয়েছেন ১৪ উইকেট। এরপর এসেছেন ক্যাম্পে। রশিদ আমিরে মুগ্ধ, “কোনো খেলোয়াড়কে ছোটো করছি না। কিন্তু সাধারণ ও অসাধারণ খেলোয়াড়ে পার্থক্য থাকে। তাকে আনতে কাউকে বাদ দিচ্ছি না আমরা।” আমিরের বিশেষ গুন হিসেবে তার বোলিংয়ের পাশাপাশি চমৎকার ব্যাটিং ও ফিল্ডিংকেও দেখছেন প্রধান নির্বাচক। আমিরের অল রাউন্ডার সামর্থই বেশি চোখ কাড়ে রশিদের। বলেছেন, “আমিরের ব্যাপারে বলতে গেলে শুধু তার বোলিং না, বলতে হয় তার অল রাউন্ড সামর্থ নিয়ে। সে ভালো ফিল্ডার।
নিশ্চয়তা দিয়ে ব্যাট করতে জানে। গত ৫ বছর খেললে প্রতিষ্ঠিত একজন অল রাউন্ডার হয়ে যেতে পারতো সে। আমাদের ভালো বোলার আছে। কিন্তু তারা ব্যাটিংয়ের জন্য পরিচিত না। কাউকে চিহ্নিত করে বলতে চাই না। তবে আমাদের খেলোয়াড়দের খেলার তিন বিভাগেই ভালো করা দরকার।” রশিদ যেভাবে আমিরের প্রশংসা করলেন তাতে আগামী মাসের নিউজিল্যান্ড সফরে তার দলে থাকা কি নিশ্চিত নাকি! শনিবার মিলতে পারে এই প্রশ্নের জবাব। সেদিনই নিউজিল্যান্ড সফরের দল দিতে পারে পাকিস্তান।