Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

49খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইংরেজী মাধ্যম স্কুলের পাঠ্য পুস্তকে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শিশুরা দেশের আগামী দিনের নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয় হচ্ছে আমাদের গর্ব। বাংলা মাধ্যম স্কুলের পাঠ্য পুস্তকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রয়েছে। কিন্তু ইংরেজী মাধ্যমের পুস্তকে এ বিষয়টি যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।’ তিনি বলেন, তাই, দেশের স্বাধীনতা লাভের দীর্ঘ সংগ্রাম ও ৩০ লাখ শহীদের আত্মোৎসর্গ করার ইতিহাস শিশুদের জানানোর জন্য আপনাদেরকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে, যা শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস এবং মর্যাদাবোধ গড়ে তোলার জন্য সহায়ক হবে।
প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাইমারী স্কুল সার্টিফিকেট (পিএসসি), জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল (রেজাল্ট) গ্রহণকালে একথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী এডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান আজ সকালে গণভবনে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর হাতে এই ফলাফল তুলে দেন। একই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী দেশব্যাপী পাঠ্য পুস্তক বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ কষ্টার্জিত স্বাধীনতা অর্জন করেছে এবং এর লক্ষ্য ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত শিক্ষিত জাতি গঠন করা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার উন্নয়ন ছাড়া কোন জাতি কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারে না। বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক ও ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করে শিক্ষার উপর যথোচিত গুরুত্ব প্রদান করেছিলেন। শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে তাঁর সরকার ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১ লাখেরও বেশি প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি জাতীয়করণ করা হয়েছে।
চালু করা হয়েছে বিনামূল্যে পাঠ্য পুস্তক বিতরণ কর্মসূচি এবং গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেয়া হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘মিড-ডে মিল’ অব্যাহত রাখতে ও অন্যান্য উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়নে তহবিল গঠনের উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি মিড ডে মিল চালু ও অব্যাহত রাখতে স্থানীয় ধনাঢ্য ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধি ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সহযোগিতা ও সহায়তা চাইতে কর্তৃপক্ষকে পরামর্শও দেন। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট তহবিল গঠনের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই তহবিল থেকে এখন ১ কোটি ২৮ লাখ শিক্ষার্থী বৃত্তি পাচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা চাই না কোন শিক্ষার্থী দারিদ্র্যের কারণে শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হোক। এই তহবিল গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষা অব্যাহত রাখতে এবং তাদের অভিভাবকদের বোঝা লাঘবে সহায়তা করছে।