Sun. May 11th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

27খোলা বাজার২৪,শনিবার, ২ জানুয়ারি ২০১৬: ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের দ্বিতীয় বছরপূর্তির দিনে ঢাকায় জনসভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি, যাতে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বক্তব্য রাখবেন।
মঙ্গলবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই জনসভা করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আশা প্রকাশ করেছেন, তাদের এই কর্মসূচিতে সরকার কোনো বাধা দেবে না।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপি পরের বছর দিনটিতে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালনের কর্মসূচিতে বাধা পেয়ে লাগাতার অবরোধ ডেকেছিল।
তিন মাসের অবরোধে নাশকতায় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়, পোড়ানো হয় বহু গাড়ি। আন্দোলনে সরকার হঠাতে ব্যর্থ হওয়ার পর এপ্রিলে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল বিএনপি। এরপর বছরের শেষে দলীয় প্রতীকে পৌর নির্বাচনেও অংশ নেয় তারা।
পৌর নির্বাচনে ভরাডুবির পর ভোট জালিয়াতির অভিযোগ করলেও কোনো কর্মসূচি দেয়নি বিএনপি। এরপর ৫ জানুয়ারিই প্রথম কর্মসূচি নিয়ে আসছে দলটি।
শনিবার নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সভার পর ফখরুল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “২০১৪ সালের প্রহসনের নির্বাচনের দিনকে আমরা গণতন্ত্র হত্যা দিবস হিসেবে চিহ্নিত করেছিলাম।
“এই দিবসটিকে স্মরণ করতে এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে পাওয়ার আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা আগামী ৫ জানুয়ারি ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একটি শান্তিপূর্ণ জনসভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
এই জনসভা করতে কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা আশা করছি, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ব্যবহার করার জন্য অনুমতি দেবেন।
“আমরা প্রত্যাশা করব, সরকার ও যথাযথ কর্তৃপক্ষ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভাটিকে সফল করে বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়মতান্ত্রিকভাবে চলতে দেওয়ার জন্য অবদান রাখবেন।”
ওই দিন সারাদেশে বিএনপির জেলা কার্যালয়গুলোতেও আলোচনা সভা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে নয়া পল্টনের এই যৌথসভায়।
সভায় ১৯ জানুয়ারি দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮০তম জন্মবার্ষিকী পালনের কর্মসূচিও চূড়ান্ত হয়েছে।
জিয়ার জন্মদিনে বিএনপির কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ১৯ জানুয়ারি ভোরে ঢাকাসহ সারাদেশের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ১০টায় শেরে বাংলা নগরে কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং আলোচনা সভা।
ফখরুলের সভাপতিত্বে যৌথসভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান মিনু, রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, কেন্দ্রীয় নেতা জয়নাল আবদিন ফারুক, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সাখাওয়াত হোসেন জীবন, আবদুস সালাম আজাদ, আবদুল লতিফ জনি, শামীমুর রহমান শামীম, আসাদুল করীম শাহিন, এবিএম মোশাররফ হোসেন, হারুনুর রশীদ উপস্থিত ছিলেন।
সহযোগী সংগঠনের নেতাদের মধ্যে ছিলেন শিরিন সুলতানা, হুমায়ুন ইসলাম খান, মুনির হোসেন, সাইফুল ইসলাম পটু, নুরুল ইসলাম খান নাসিম, হাফেজ আবদুল মালেক, শাহ নেসারুল হক, রফিকুল ইসলাম মাহতাব, আবদুল আউয়াল খান।