Sat. May 10th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

 

NAP 02-01-2016খোলা বাজার২৪,শনিবার, ২ জানুয়ারি ২০১৬: স্বাধীনতার পর ১৯৭২-৭৫ পর্যন্ত আওয়ামী-বাকশালী আমলে রক্ষীবাহিনীর অত্যাচারে হাজার হাজার সরকার বিরোধী বামপন্থী হত্যার শিকার হন ফ্যাসীবাদী সরকারের অপশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার কারণে বলে অভিমত প্রকাশ করেছন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া। তিনি বলেন, সেসব হত্যা ছিল হয় রক্ষীবাহিনী, অথবা সরকারি বাহিনীর গুপ্তহত্যা। কিন্তু হ্যান্ডকাফ পরা অবস্থায় পুলিশের হেফাজতে কমরেড সিরাজ শিকদারকে হত্যা ছিল বাংলাদেশ যাত্রায় সেটাই প্রথম। সেই খুনের রাস্তা থেকে বাংলাদেশ এখনো উঠে আসতে পারেনি। পুরো জনপদই পরিণত হয়েছে খুনের জনপদে।
এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া আজ শনিবার সকালে নয়াপল্টনস্থ যাদু মিয়া মিলনায়তনে “শহীদ কমরেড সিরাজ শিকদারের ৪১তম হত্যাবার্ষিকী স্মরণে” বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখছিলেন। নগর আহ্বায়ক সৈয়দ শাহজাহান সাজু‘র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান কাজী ফারুক হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব স্বপন কুমার সাহা, সম্পাদক মোঃ কামাল ভুইয়া, মতিয়ারা চৌধুরী মিনু, নগর সদস্য সচিব মোঃ শহীদুননবী ডাবলু, যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আনছার রহমান শিকদার, মোঃ আনোয়ার হোসেন, সদস্য অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, মোঃ আক্তার হোসেন, সোলায়মান সোহেল, তোফাজ্জল হোসেন ভানু, মোঃ বেলাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল-কাউছারী প্রমুখ।
এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, যখন রাজনীতিতে নিজের দেশের মাটি, নদী, ঝড়বৃষ্টিতে সিক্ত যে ভূমি তার দিকে কারো নজর নেই। সেদিক থেকে সিরাজ সিকদার অনন্য। দেশীয় ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে রাজনীতি, রণকৌশল হাজির করাই ছিল সিরাজ সিকদারের বড় কৃতিত্ব। তিনি বলেন, স্বদেশপ্রেম, লড়াই যেন আজ ‘অ্যাকুয়ারিয়ামের পচা মাছ’। অথচ সিরাজ সিকদার বাংলাদেশকে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন এক আজন্ম স্বপ্নের সাম্যবাদী সমাজের আন্দোলনের নেতা হয়ে। সিরাজ সিকদার ইতিহাসে তাই একটি মিথ হয়েই রয়েছেন। তিনি বলেছেন, দুঃখজনক হলেও সত্য যে-সিরাজ শিকদার হত্যার ৪১বছরে বহুবার রাষ্ট্রক্ষমতা পরিবর্তন হলেও তাঁর হত্যাকান্ডের বিচার হয়নি আজও। যার ফলশ্রুতিতে তথাকথিত ক্রসফায়ারের অপসংস্কৃতি আজও বন্ধ হয়নি। ইতিহাসের কলঙ্ক মুছতে, ইতিহাসের দায় থেকে মুক্তি পেতে উচিত মহান দেশপ্রেমিক সিরাজ শিকদার হত্যার বিচার সম্পন্ন করা।
সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ শাহজাহান সাজু বলেছেন, কমরেড সিরাজ শিকদার উবলব্ধি করতে পেরেছিলেন বাংলার স্বাধীনতাকে ভারতের হাত থেকে অন্যান্য স্বাধীনতাকামী জাতিস্বত্বার মুক্তির ভিত। তিনি আত্ম নির্ভরশীল মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছিলেন ভারতে না গিয়ে। ১৯৭৫ এর ২ জানুয়ারি বন্দী অবস্থায় মহান এই দেশপ্রেমিককে তৎকালীন বাকশালী সরকার হত্যা করে ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়ের সুচনা করে; যা আজো চলছে।