খোলা বাজার২৪, রবিবার, ৩ জানুয়ারি ২০১৬: মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে বিএনপির রাজনীতির চূড়ান্ত অপমৃত্যু ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার।
ইমরান এইচ সরকার (ফাইল ছবি) ইমরান এইচ সরকার (ফাইল ছবি) শনিবার বিকালে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহীদের সংখ্যা ও বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদ জানাতে এবং যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ডের রায় আপিল বিভাগে বহাল রেখে দ্রুত কার্যকরের দাবিতে এই সমাবেশ করে গণজাগরণ মঞ্চ।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ঘুরে ফের শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে ইমরান বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে বিএনপির রাজনীতির চূড়ান্ত অপমৃত্যু ঘটেছে। এর আগে তারা যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়ে মিথ্যাচার করেছে। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন এই বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার কারও থাকতে পারে না।”
গত ২১ ডিসেম্বর এক আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, “আজকে বলা হয়, এতো লক্ষ লোক শহীদ হয়েছেন। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে যে আসলে কত লক্ষ লোক মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। নানা বই-কিতাবে নানারকম তথ্য আছে।”
এর কয়েকদিন পর এক অনুষ্ঠানে বুদ্ধিজীবীরা ‘নির্বোধের’মতো মরেছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
সমাবেশে খালেদা ও গয়েশ্বরকে ‘মস্তিষ্ক বিকৃত লোক’ আখ্যায়িত করে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গড়ে ওঠা গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান বলেন, “যে দেশে বাস করে, যে দেশে রাজনীতি করে, সেই দেশের জন্মের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস নিয়ে মনগড়া বিতর্কিত কথা বলা একমাত্র মস্তিষ্ক বিকৃত লোকের পক্ষেই সম্ভব।”
পাকিস্তানের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামী এবং যুদ্ধাপরাধীদের স্বার্থ রক্ষার জন্যই বিএনপি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
চূড়ান্ত রায়ে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতা নিজামীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখার দাবি জানিয়ে ইমরান এইচ সরকার বলেন, “গণহত্যাকারী, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকারী নিজামীর ফাঁসি কার্যকর করার মাধ্যমে কলঙ্কমুক্তির দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। অবিলম্বে এই কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকর করতে হবে।”
এসময় জামায়াতে ইসলামী ও এর আটটি সহযোগী সংগঠনকে নিষিদ্ধের দাবিও জানান তিনি।