খোলা বাজার২৪, রবিবার, ৩ জানুয়ারি ২০১৬: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে না হলে ৫ জানুয়ারি নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায় বিএনপি।
দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী রোববার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশাপাশি বিকল্প স্থান হিসেবে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কের কথা জানিয়ে মহানগর পুলিশকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন তারা।
তিনি বলেন, “এবার দেখব- আপনারা (সরকার) কতোটুক শান্তির পক্ষে, আপনারা কতটুকু স্বস্তি, কতটুক গণতন্ত্রের পক্ষে। নোংরামী করে অপরাজনীতি দিয়ে নিজেদের চেহারা ঢাকা যাবে না।”
নির্বাচনের বর্ষপূর্তিতে গতবছর দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি ঘিরে শুরু হয়েছিল সহিংসতা ও অনিশ্চয়তা। এর এক বছরের মাথায় শনিবার আবারও দুই দল একই দিনে সমাবেশের ঘোষণা দেয়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ৫ জানুয়ারিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ আখ্যায়িত করে ওইদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার ঘোষণা দেওয়ার পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও একই স্থানে কর্মসূচির ঘোষণা আসে।
সরকারের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিকে ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ হিসেবে উদযাপনের জন্য ওইদিন সোহরাওয়ার্দী ছাড়াও ঢাকার ১৭টি স্থানে একযোগে সমাবেশ করার ঘোষণা রয়েছে আওয়ামী লীগের।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কাকে দেওয়া হবে সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত মহানগর পুলিশ এখনও দেয়ানি।
ঢাকার পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া রোববার মিন্টো রোডে পুলিশের গণমাধ্যম কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, “আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে জননিরাপত্তা। যদি আমাদের কাছে অনুভূত হয় যে পরস্পরবিরোধী জনসমাবেশে সাংঘর্ষিক কর্মসূচির কারণে জননিরাপত্তা তথা মানুষের জান-মালের ক্ষয়-ক্ষতির সম্ভাবনা আছে, সেক্ষেত্রে আমরা কাউকে কর্মসূচি করার অনুমতি দিতে পারি না।”
দুই দলের কেউ সমাবেশের জন্য বিকল্প স্থান চাইলে অনুমতি দেওয়া হবে কি না- এ প্রশ্নে তিনি বলেন, “শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি থাকলে তো ডিএমপির পক্ষ থেকে কোনো বাধা নেই। তা সে যে ভেন্যুই হোক না কেন। এমনকি তারা যদি দ্বিপক্ষীয়ভাবে আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চান, সেক্ষেত্রেও তারা ওয়েলকাম।