Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

28খোলা বাজার২৪, সোমবার, ৪ জানুয়ারি ২০১৬: মাত্রই ব্লিপ টেস্ট দিয়ে ইনডোর থেকে বেরিয়েছেন। দরদর করে ঘামছেন আবু হায়দার। তরুণ বাঁহাতি পেসার এখনো জাতীয় দলের জার্সি গায়ে না চড়ালে কি হবে? ইনডোর থেকে বেরোনোই মাত্র ঘিরে ধরলেন ভক্তরা। ঘর্মাক্ত শরীরে হাসিমুখে সইশিকারিদের আবদার মেটালেন বিপিএল খেলে সবার নজরকাড়া আবু হায়দার।
আগেই জানিয়েছিলেন, ‘এ দিনটার জন্য অপেক্ষায় আছেন।’ তো কেমন কাটল বাংলাদেশ দলের প্রথম অনুশীলন? মুখে বিস্তৃত হাসি ধরে রেখেই বললেন, ‘তা তো বলার অপেক্ষা রাখে না। অনুভূতিটা অন্য রকম। এটা বলে বোঝানোর নয়।’
আবু হায়দারের জন্য জাতীয় দলের সঙ্গে অনুশীলনের অভিজ্ঞতা নতুন। বহুদিন পরে ফিরেছেন বলে হয়তো ‘নতুন নতুন’ গন্ধ পাচ্ছিলেন জহুরুল ইসলামও। কালকের অনুশীলনে প্রায় প্রত্যেকেই ছিলেন। ছিলেন না সাকিব আল হাসান ও ইমরুল কায়েস। স্ত্রী-কন্যার সঙ্গে সময় কাটাতে সাকিব এখন যুক্তরাষ্ট্রে আর নাকের অস্ত্রোপচারের কারণে আসতে পারেননি ইমরুল। ট্রেনার মারিও ভিল্লাভারায়নের তত্ত্বাবধানে কাল প্রথম দিনের অনুশীলন সীমাবদ্ধ ছিল ফিটনেস ট্রেনিংয়ে।
এ অনুশীলনে ২৭ জনকে ডাকলেও শিগগির দলটা ছোট হয়ে যাবে। জিম্বাবুয়ে সিরিজ সামনে রেখে গতকালই নির্বাচকেরা ১৪ জনের দল তৈরি করে ফেলেছেন। বিসিবি সভাপতির অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা সেই দল হয়তো আজই ঘোষণা করা হবে। এ তালিকায় বাদ পড়া ১৩ জন চলে যাবে ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া বিসিএল খেলতে। বাকিরা প্রস্তুতি নেবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গত নভেম্বরের টি-টোয়েন্টি সিরিজটা ১-১-এ শেষ হওয়ার আক্ষেপ ঘোচাতে। যেটিকে অবশ্য ঠিক ‘মিশন’ বলা যাচ্ছে না।
তবে মাশরাফিদের নতুন একটা মিশন কিন্তু শুরু হচ্ছেই। কেবল জিম্বাবুয়ে সিরিজ নয়, আগামী কয়েক মাসে জাতীয় দলের একের পর এক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এ বছরে রেকর্ডসংখ্যক টি-টোয়েন্টি খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ে সিরিজে চারটি ম্যাচ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এবার এশিয়া কাপও টি-টোয়েন্টি সংস্করণে। এরপর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ধর্মশালায় প্রথম পর্বে ম্যাচ আছে তিনটি। সেই পর্ব পেরোলে পরে থাকছে আরও চারটি ম্যাচ।
সব মিলিয়ে বছরের প্রথম তিন মাসেই কমপক্ষে ১৫টি টি-টোয়েন্টি খেলার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে এশিয়া কাপের ফাইনাল কিংবা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে যেতে পারলে সংখ্যাটা আরও বাড়বে।
বাংলাদেশ এর আগে এক বছরে সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি খেলেছে ১০টি, ২০১৪-এ। গত বছর বাংলাদেশ যেখানে ওয়ানডে খেলেছে ১৮টি, এবার সেখানে এফটিপি অনুযায়ী খেলার কথা ছয়টি। সে ক্ষেত্রে ২০১৬ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের ‘টি-টোয়েন্টি’র বছর।
টি-টোয়েন্টিটা একটু বেশিই খেলা হয়ে যাচ্ছে কি? এই সংস্করণ বেশি বেশি খেলে অভিজ্ঞতা বাড়ানোই টিম ম্যানেজমেন্টের আপাতত লক্ষ্য। মাহমুদউল্লাহও বললেন, ‘টিম ম্যানেজমেন্ট যা চিন্তা করছে, আমাদের ভালোর জন্যই করছে। যেহেতু সামনে বেশির ভাগ টুর্নামেন্টই টি-টোয়েন্টিতে। আর আমরা খুব একটা অভ্যস্ত নই এই সংস্করণে। ম্যাচগুলো (জিম্বাবুয়ে সিরিজে) বাড়িয়ে দেওয়ার কারণে আমাদের জন্য ভালো হবে।’
ক্রিকেটের ছোট সংস্করণ এখনো বাংলাদেশের কাছে গোলকধাঁধা। ৪৬ ম্যাচে জয় মাত্র ১৩টিতে। এবার কি এই ধাঁধার উত্তর পাবে বাংলাদেশ? আশার কথাই শোনালেন মাহমুদউল্লাহ, ‘আমরা এই মৌসুমে এখনো শুরু করিনি। ভালো শুরু করতে পারলে যেকোনো কিছুই হতে পারে। টি-টোয়েন্টি কিংবা ওয়ানডে যা-ই হোক, ভালো শুরুটাই গুরুত্বপূর্ণ।