Thu. May 8th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

30খোলা বাজার২৪, সোমবার, ৪ জানুয়ারি ২০১৬: প্রতিটি শিশুই আলাদা, এবং প্রত্যেকেই নিজস্ব সময়ে বেড়ে ওছে। সে কথা শেখে, খেলা করে, বসে, হাঁটে। কিন্তু অটিজমের শিকার শিশুদের ক্ষেত্রে এমন স্বাভাবিক বেড়ে ওঠার ঘটনা দেখা যায় না। সঠিক ট্রিটমেন্টের জন্য যতো দ্রুত সম্ভব শিশুর মাঝে অটিজমের লক্ষণগুলো শনাক্ত করা দরকার। তার মানসিক দক্ষতার উন্নতি ঘটানোর জন্য এই ট্রিটমেন্ট খুবই জরুরী। জেনে নিন কম বয়সে শিশুর মাঝে অটিজমের লক্ষণ খুঁজে পাওয়ার কিছু উপায়।
সাধারণত শিশুর বয়স ১২-১৮ মাস হলে এসব লক্ষণ দেখা যায়। অটিজম স্পিকস নামের একটি প্রতিষ্ঠান অটিজমের প্রাথমিক লক্ষণগুলো নিয়ে একটি ছোট্ট ভিডিও প্রকাশ করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পাঁচটি লক্ষণের ব্যাপারে পিতামাতার সতর্ক থাকা উচিত:
১) নিজের নাম শুনলে সাড়া না দেওয়া: একটি সুস্থ শিশু বাবা-মা অথবা তার যতœ নেয় এমন কারও মুখে নিজের নাম শুনলে সাড়া দেবে। অটিজম আছে এমন শিশুদের বেশিরভাগই নিজের নাম শুনলে সাড়া দেয় না।
২) অন্য কারও মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করে না: এক্ষেত্রে “জয়েন্ট অ্যাটেনশন” কথাটা ব্যবহার করা হয়। খুব সহজ একটি উদাহরণ দিলে জিনিসটি বোঝা যায়। সুস্থ একটি বা”চা চাঁদ দেখে মুগ্ধ হলে যে একবার চাঁদের দিকে তাকায়, আরেকবার মায়ের দিকে তাকায়, চাঁদের দিকে হাত ইশারা করে, মুখে শব্দ করে। কিন্তু অটিজমে আক্রান্ত শিশুর মাঝে এই কাজটা করতে দেখা যায় না। তারা নিজেদের উৎসাহ অন্য কারও সাথে শেয়ার করে না বা করতে পারে না। নিজের মত করে থাকে। সাধারণত একা থাকতে পছন্দ করে।
৩) অন্যদের আচরণ অনুকরণ করে না: অন্য বা”চারা যেভাবে নড়াচড়া করে, একজন আরেকজনের দেখাদেখি তালি দেয়, অন্যদের দেখে হাত নাড়ায় তেমনটা অটিস্টিক বা”চারা সাধারণত করে না ।
৪) মিছিমিছি খেলার প্রবণতা দেখা যায় না: বা”চারা নিজেকে মা ধরে নিয়ে পুতুলকে বা”চা বানিয়ে ঘরবাড়ি খেলা করে। খেলনা টেলিফোন নিয়ে কথা বলার ভান করে। হাঁড়িপাতিল নিয়ে রান্নার ছলে খেলা করে। কিন্তু অটিজম থাকলে এমন খেলার প্রবণতা দেখা যায় না।
৫) অন্যের আবেগের প্রতি তারা স্পর্শকাতর হয় না: সাধারণত বা”চারা অন্যদের আবেগ দেখলে নিজেরাও আবেগতাড়িত হয়ে পড়ে। যেমন অন্যকে হাসতে দেখলে তারাও না বুঝেই হাসে। কিন্তু অটিজম আছে এমন শিশুরা এটা সাধারণত করে না।
পিতামাতার করণীয়: বা”চার বয়স ১২ মাস হবার সময় থেকেই পিতামাতার এই ব্যাপারগুলোর দিকে নজর রাখা উচিত। কোনো কিছুতে খটকা লাগলে তাৎক্ষণিক শিশুর ডাক্তারের সাথে কথা বলুন। ১২ মাস অর্থাৎ এক বছর বয়সে এগুলো ছাড়াও আরও কিছু লক্ষণ দেখা যেতে পারে যেমন বাবা, মা এসব কথা না বলা, হামা না দেওয়া, ধরে ধরে হাঁটার চেষ্টা না করা ইত্যাদি। এসব লক্ষণের প্রতি সতর্ক থাকুন।