খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারি ২০১৬: সোমবারের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ভারত-সহ বাংলাদেশ-মায়ানমার। বাংলাদেশে তিন জনের মৃত্যু ও শতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রাজধানীর পূর্ব জুরাইনে, রাজশাহী ও লালমনিরহাটে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৭ থেকে ৬.৮। বাংলাদেশ আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালে কমবেশি ৩০ বারের মতো ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এ বার সেই পরিসংখ্যান দেখা যাক- ক্স ৯ জানুয়ারি ৩ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভৈরব বাজার এবং ৮ এপ্রিল ৪ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল বাগেরহাটের শরণখোলা।
আবহাওয়া দফতরের পরিসংখ্যান অনুয়ায়ী, ১৮৬৯ সালের ১০ জানুয়ারি ভারতে (কেন্দ্র) ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ক্স এর পর ১৮৮৫ সালে বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ক্স ১৮৯৭ সালের ১২ জুন ভারতে আঘাত হানে ৮.৭ মাত্রার ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান আর্থকোয়েক’। এটা এখন পর্যন্ত পৃথিবীর অন্যতম বড় ভূমিকম্প হিসেবে পরিচিত। উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের শিলং শহর। এর প্রভাব পড়ে বাংলাদেশ-সহ বহু দূরের অঞ্চলে। এতে ঢাকায় প্রায় ৪৫০ জন মানুষ মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল। ক্স এর পর দেশে ১৯১৮ সালের ৮ জুলাই ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। কেন্দ্র ছিল বাংলাদেশের শ্রীমঙ্গল। ক্স ১৯৩০ সালের ২ জুলাই ভারতে ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্প হয়।
ক্স ১৯৫০ সালের ১৫ আগস্ট আসামে হয় ৮.৫ মাত্রার ভূমিকম্প। ক্স ১৯৫৪ সালের ২১ মার্চ ভারতের মণিপুরে ৭.৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। ক্স ভারতের অসমে ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয় ১৯৭৫ সালের ৮ জুলাই। ক্স ২০১১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ভারতের সিকিমে ৬.৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এতে বাংলাদেশেও তীব্র কম্পন অনুভূত হয়। ক্স ১৯৯৭ সালের ২২ নভেম্বর, চট্টগ্রামে ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬। ক্স ১৯৯৯ সালের জুলাই মাসে ৫.২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ওই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল বাংলাদেশের কক্সবাজারের মহেশখালি দ্বীপ।
ভারত বা তার আশপাশে কম্পন অনুভূত হলে তার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়বে। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ ইনস্টিটিউটের ওয়েবসাইটে ২০০৯ সালে প্রকাশ করা তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ আশঙ্কাজনক অবস্থানে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘বাংলাদেশের ঘনবসতিপূর্ণ রাজধানীর কাছে ভূমিকম্প হলে তা সাম্প্রতিক কালের অন্য সব বিপর্যয়কে ম্লান করে দেবে।’ বড় ধরনের ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে ঢাকার অবস্থান ভূমিকম্পের উৎসস্থল থেকে ৫০ থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে হলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।