খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারি ২০১৬: স্বামীর আসল চেহারা সবাইকে দেখিয়ে দিলেন তৃতীয় স্ত্রী নিলুফা ইয়াসমিন। এখন তিন বউ আর এক হবু বউ এক দলে। খবর পেয়েই পালিয়েছেন আবদুল আলিম।
একটা নয়, দুটো নয়, তিনটে। তিন-তিনটে বিয়ে করে খবরের শিরোনামে ভারতের বর্ধমানের আবদুল আলিম। এমন বে আইনি কাজটি যিনি করেছেন তিনি আবার পেশায় আইনজীবী।
না, তিনটে বিয়ে করেই শান্ত বা ক্ষান্ত হননি তিনি। চতুর্থ বিয়েও ঠিক হয়ে গিয়েছিল। আর সেই বিয়ে করতে গিয়েই ধরা পড়ে গেলেন বিয়ে-পাগল আইনজীবী। পর্দা ফাঁস করলেন তৃতীয় স্ত্রী নিলুফা ইয়াসমিন। এখন তিন বউ আর এক হবু বউ এক দলে। খবর পেয়ে এখন পলাতক আবদুল আলিম।
মাস দু’য়েক আগে বর্ধমানের গোলাহাটের বাসিন্দা নিলুফার সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে বিয়ে হয় বর্ধমানের খণ্ডঘোষের শেখ আবদুল আলিমের। শ্বশুরবাড়িতে হঠাৎ নিলুফা একটি সিডি হাতে পায়। চালানোর পরেই চক্ষু চড়কগাছ। তারই স্বামীর অন্য এক মহিলার সঙ্গে বিয়ের ভিডিও রেকর্ডিং। পাত্রীর পরিচয়ও জানা যায়। একেবারে পাশের গ্রাম খালেরপুলের তনুজা খাতুন। পরে আরও খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, তনুজার আগে আরও একটা বিয়ে করেন আলিম। স্বামীর কাছে বিষয়টা জানতে চাওয়ায় শুরু হয় নিলুফার উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার। এমনকি ঘুমের ওষুধ খাইয়ে প্রাণে মারারও চেষ্টা চলে বলে অভিযোগ।
শুধুমাত্র বিয়ের প্রতারণাই নয় বিয়ের রেজিস্ট্রির নামে দশ টাকার জাল স্ট্যাম্প পেপারে সই করানো হয়েছে। বর্ধমানে নিজের বাড়িতে ফিরে এসে আইনের দ্বারস্থ হয়েছে নিলুফা। অভিযোগ জানানো হয়েছে খণ্ডঘোষ থানায়।
আবদুল আলিম পলাতক থাকায় জানা গেল না, কী করে তিনটের পর চারটে সংসার চালানোর মতো মনের ও পকেটের জোর পান তিনি