Wed. May 7th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

32খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারি ২০১৬: তিন বছর পর নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে উপস্থিত হয়েছেন খালেদা জিয়া। এ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতীয় নির্বাচনের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তির দিনটি বিএনপি পালন করছে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস‘ হিসেবে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের গাড়িবহর মঙ্গলবার বেলা ২টা ৪৭ মিনিটে নয়া পল্টনে দলের কার্যালয়ের সামনে জনসভাস্থলে পৌঁছায়।
এর আগে বেলা ২টার পর দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে সভার কার্য্ক্রম শুরু হয়।
গত সপ্তাহে পৌর নির্বাচনে ভরাডুবির পর এটাই বিএনপির প্রথম প্রকাশ্য কর্মসূচি। নয়া পল্টনে খালেদা জিয়া ২০১২ সালে সর্বশেষ জনসভায় বক্তব্য দিয়েছিলেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও এদিন বঙ্গবন্ধু এভিনিউ ও ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে সমাবেশ করছে। দিনটি তারা উদযাপন করছে ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ হিসেবে।
দশম সংসদ নির্বাচনের প্রথম বছর পূর্তির দিন ২০১৫ সালে ৫ জানুয়ারিও বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি জনসভার ঘোষণায় উত্তেজনা দেখা দেয়। এই প্রেক্ষাপটে পুলিশের বাধায় জনসভা করতে না পেরে খালেদা জিয়া লাগাতার অবরোধ ডাকেন। তিন মাসের ওই কর্মসূচিতে নাশকতায় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়।
এবারও দুই দল একই দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নির্বাচনের বর্ষপূর্তির কর্মসূচি পালনের অনুমতি চাইলে নতুন করে উত্তেজনার আশঙ্কা তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন দুই দলকে আলাদা স্থানে সমাবেশের অনুমতি দেয়। আর মহানগর পুলিশ বেলা ২টা থেকে তিন ঘণ্টা সময় ঠিক করে দিয়ে কয়েকটি শর্ত বেঁধে দেয় দুই দলকে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সভা শুরুর আগে বলেন, “আমাদের জনসভা হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। দুপুরে নেতা-কর্মীদের যানবাহনে করে কোনো যানজটের সৃষ্টি না করে জনসভায় আসতে আমরা আমাদের মহানগরের সকল ইউনিটের নেতাদের নির্দেশ দিয়েছি।”
গত বছর ৫ জানুয়ারি থেকে টানা তিন মাসের অবরোধ-হরতালের পর এই প্রথম খালেদা জিয়ার প্রথম বড় কোনো জনসভায় অংশ নিচ্ছেন।
সর্বশেষ ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে জোটের জনসভায় তিনি বক্তব্য দিয়েছিলেন। আর নয়া পল্টনে তার সর্বশেষ জনসভা হয়েছিল ২০১২ সালে।
জনসভাস্থলের রাস্তার দুই পাশে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বড় বড় প্রতিকৃতি টানানো হয়। এছাড়া দলের ‘নিখোঁজ’ সেতা এম ইলিয়াস আলী ও মহানগর নেতা চৌধুরী আলম এবং কারাবন্দি অবস্থায় মারা যাওয়া নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু, মামলা মাথায় আত্মগোপনে থাকা মহানগর বিএনপির আহবায়ক মির্জা আব্বাস ও সদস্য সচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলসহ কারাবন্দি বিভিন্ন নেতার ছবিসহ ব্যানারও দেখা যাচ্ছে।