খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারি ২০১৬: ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ‘মানুষ হত্যা’ করে দেশে ‘রাজতন্ত্র কায়েম করার’ চেষ্টায় আছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
জাতীয় নির্বাচনের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে মঙ্গলবার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, “বহু চেষ্টা করেছেন। এর আগে একবার চেষ্টা করেছেন একদলীয় শাসন কায়েম করার। এখন আবার করছেন।
“মানুষ গুম করে, খুন করে রাজতন্ত্র কয়েম করার যে চেষ্টা আপনারা করছেন, আমার মনে হয় তা কোনো ভালো ফল বয়ে আনবে না।”
সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের ‘ফাঁদে ফেলার’ জন্য ‘কথায় কাথায়’ নতুন আইন করছেন বলে অভিযোগ করেন খালেদা।
তিনি বলেন, “জনগণকে কখনো আটকানো যায় না। ৃযে আইনে জনগণের কোনো কল্যাণ করে না সেটা মানুষ কোনোদিন গ্রহণ করে না।”
‘গুম-খুন করে’ কেউ কোনোদিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি বলে সরকারকে সতর্ক করেন বিএনপিনেত্রী।
আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “সঠিক পথে আসুন, গণতন্ত্রের পথে আসুন। না হলে কিন্তু জনগণ কখন জেগে উঠবে বলা যায় না।ৃজনগণকে ঠেকিয়ে রাখা যাবে না।
২০০৯-২০১৩ সালের মধ্যে কয়েকটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীদের জয়ী হওয়ার কথা মনে করিয়ে দিয়ে খালেদা বলেন, ‘একটু ফেয়ার ইলেকশন’ হলেই বিএনপি তাতে জযলাভ করে। কিন্তু আওয়ামী লীগের অধীনে ‘কোনোদিন’ জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে ‘হবে না’।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবিতে গতবছর প্রথম তিন মাস টানা অবরোধ-হরতালে সাফল্য না পেলেও একবছরের মাথায় এ সমাবেশে আবারও নির্বাচনের দাবি তুলেছেন খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, “জোর করে বসে আছে, নির্বাচনের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব তাদের।”
খালেদা অভিযোগ করেন, বিরোধীদের ‘হয়রানি-নির্যাতনের’ জন্য সরকার পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহার করছে।
“আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাইয়েরা এখানে আছেন। তাদের প্রতি বলব, এরা তো এই বাংলাদেশেরই ছেলে। এতো অত্যাচার, এতো কষ্ট, গুম খুন করা .. এটা কি ঠিক?”
“আপনাদের নিয়ে অন্যায় কাজ করাচ্ছে। আমি বলছি না পুলিশ বাহিনী খারাপৃকিন্তু আপনাদের নষ্ট করছে।”
দীর্ঘ তিন বছর পর দলীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশে খালেদা বলেন, “আমরা একসঙ্গে থাকতে চাই। বাংলাদেশ ছোট্ট একটি দেশ। আমরা যদি সকলে মিলে-মিশে থেকে কাজ করি, বাংলাদেশকে আমরা একটি সুন্দর দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারব।”