Sun. May 4th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

20খোলা বাজার২৪,বৃহস্পতিবার, ৭ জানুয়ারি ২০১৬: আপাতত চোখের সামনে জিম্বাবুয়ে সিরিজ থাকলেও নুরুল হাসান ও আবু হায়দার দুজনই দৃষ্টি মেলেছেন সুদূরে
কালকের দিনটা নুরুল হাসানের মনে থাকবে বহুদিন। বাংলাদেশ দলের হয়ে প্রথম এলেন অনুশীলনে। যদিও ৩ জানুয়ারি থেকেই শুরু করেছেন অনুশীলন। কিন্তু তখন ছিলেন প্রাথমিক দলে। এবার চলে এলেন ১৪ জনের দলে। জিম্বাবুয়ে সিরিজের আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি শুরু হলো আসলে কালই।
আর প্রথম দিনেই ঘটল এক অনভিপ্রেত ঘটনা। বিসিবি একাডেমির মাঠে নেটে ব্যাটিং অনুশীলন করছিলেন নুরুল। বোলারের মাথার ওপর দিয়ে ড্রাইভ করতে গিয়ে বলটা দুম করে লাগল বিসিবির কর্মী একরামের মাথায়। জরুরি ভিত্তিতে নিয়ে যাওয়া হলো তাঁকে হাসপাতালে। স্বস্তির খবর, মারাত্মক কিছু হয়নি।
নিতান্তই এ দুর্ঘটনাটির জন্যও ভীষণ উদ্বিগ্ন ছিলেন নুরুল। উদ্বেগের মধ্যেই অনুশীলন সেরেছেন। যখন শুনেছেন মারাত্মক কিছু হয়নি, মাথা থেকে একটা চাপ সরে গেল নুরুলের, ‘খারাপ লাগছিল নিজের কাছে। টেনশনে ছিলাম খুব। শেষ পর্যন্ত তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। নিজেকে একটু হালকা মনে হচ্ছে।’
আবু হায়দারের এমন অভিজ্ঞতা না হলেও গত কদিনে যা হচ্ছে সেটির সঙ্গেও খুব একটা পরিচিত নন তরুণ বাঁহাতি পেসার। বিপিএলে নজরকাড়া পারফরম্যান্সে এরই মধ্যে ‘নায়ক’ বনে গেছেন। ভক্ত-সমর্থকদের ‘সেলফি-ঝড়ে’র শিকার হচ্ছেন! প্রায় প্রতিদিনই সংবাদ শিরোনামও হচ্ছেন। অভিজ্ঞতা যা-ই হোক, দুজনই বেশ রোমাঞ্চিত। দুজনই চান দলে নিজেদের জায়গা শক্ত করতে।
নাকের ডগায় জিম্বাবুয়ে সিরিজ। আবু হায়দারের আপাতত লক্ষ্য, এ সিরিজে নিজেকে উজাড় করে দেওয়া, ‘একাদশে সুযোগ পাওয়ার ব্যাপারটি টিম ম্যানেজমেন্টের হাতে। আমার কাজ অনুশীলন করে যাওয়া। সেটা ভালোই হচ্ছে। যদি একাদশে থাকি, নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।’
নুরুলের কণ্ঠেও অভিন্ন সুর। আসন্ন সিরিজে ভালো খেলার প্রত্যয় তাঁর চোখেমুখেও, ‘প্রথমবার জাতীয় দলে সুযোগ পেলাম, ভালো লাগছে। এখন লক্ষ্য ভালো খেলা। খেলার ওপর মনোযোগ দিচ্ছি, যাতে সামনে যে সিরিজ আছে ভালো খেলতে পারি।’
জিম্বাবুয়ে সিরিজটা এক অর্থে প্রস্তুতির সিরিজও। আপাতত চোখের সামনে জিম্বাবুয়ে সিরিজ থাকলেও দুজনই দৃষ্টি মেলেছেন সুদূরে। দুজনই স্বপ্ন দেখেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার। তবে বিশ্বকাপে খেলতে হলে আগে তো দলে জায়গা পোক্ত করতে হবে। চ্যালেঞ্জটা নিচ্ছেন আবু হায়দার, ‘বিশ্বকাপ ভাবনায় আছে। এখানে যারা ভালো করবে, তাদের নিয়ে এশিয়া কাপ-বিশ্বকাপ হবে। বিপিএলটা ভালো হয়েছে, চেষ্টা থাকবে সেটার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে। যদি সুযোগ পাই, দেশের হয়ে ভালো করার চেষ্টা করব। যেহেতু একবার সুযোগ পেয়েছি, মূল লক্ষ্য থাকবে নিজের জায়গাটা শক্ত করা।’
নুরুল অবশ্য ধাপে ধাপে এগিয়ে পা ফেলতে চান বিশ্বকাপের মঞ্চে, ‘সব সিরিজই সমান। জিম্বাবুয়ে সিরিজও গুরুত্বপূর্ণ। সব সময়ই লক্ষ্য থাকে, যখনই সুযোগ পাই ভালো খেলতে হবে। আর বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন সবারই থাকে। আপাতত জিম্বাবুয়ে সিরিজ নিয়েই ভাবছি।