খোলা বাজার২৪,বৃহস্পতিবার, ৭ জানুয়ারি ২০১৬: অবকাঠামো খাতে ব্যয় ও সরকারি চাকুরেদের বেতন বাড়ার ফলে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৭ শতাংশ হতে পারে বলে বিশ্ব ব্যাংক আভাস দিয়েছে।
বুধবার প্রকাশিত আন্তর্জাতিক এ ঋণদাতা সংস্থার ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টস’ শীর্ষক অর্ধবার্ষিক প্রতিবেদনে এ প্রক্ষেপণ করা হয়েছে।
একইসঙ্গে প্রতিবেদনে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি ৬ দশমিক ৩ শতাংশ হবে বলে গত বছর জুনে দেওয়া পূর্বাভাস সংশোধন করে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ প্রাক্কলন করেছে বিশ্ব ব্যাংক। অবশ্য এর আভাস গত অক্টোবরে ঢাকায় প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ শীর্ষক প্রতিবেদনেই পাওয়া গিয়েছিল।
সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবকাঠামো খাতে বর্ধিত ব্যয় এবং সরকারি খাতে বেতন বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধির হার বেড়ে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ হতে পারে।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক উত্তেজনা অনেকটাই প্রশমিত হওয়ার সঙ্গে রপ্তানি বাড়ার বিষয়টিও বিশ্ব ব্যাংকের চোখে পড়েছে।
তবে রাজনৈতিক অস্থিরতা আবার শুরু হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে করছে সংস্থাটি; পাশাপাশি এ সময়ে রাজস্ব ঘাটতিও বেড়ে যেতে পারে মনে করছে।
বাংলাদেশ সরকার গত সেপ্টেম্বরে শ্রম আইন সংশোধন করায় ‘শ্রমিকদের অধিকার ও কর্মস্থলের নিরাপত্তা জোরদার হওয়ার ফলে’ তা রপ্তানির ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
. . বিশেষ করে জেনারালাইডজ সিস্টেম অব প্রেফারেন্সের (জিএসপি) আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের বন্ধ থাকা সুযোগ ফেরতের চলমান পুনর্মূল্যায়নের প্রক্রিয়া তা ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে বিশ্ব ব্যাংক।
২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে বাংলাদেশ সরকার ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরেছে, যা অর্জন করতে বেসরকারি খাতে ব্যাপক বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে বলে এর আগে বিশ্ব ব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেছেন।
হালনাগাদ প্রতিবেদনে বিশ্ব ব্যাংক বলেছে, উন্নয়নশীল অঞ্চলের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রবৃদ্ধির হার সবচেয়ে দ্রুত বাড়ছে; ২০১৪ সালের ৬ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০১৫ সালে ৭ শতাংশ হয়েছে।
ভারতের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানো এবং তেলের দাম কমার ফলে তা সম্ভব হয়েছে।
উন্নয়নশীল বাজারগুলোতে দুর্বল প্রবৃদ্ধির প্রভাব পড়লেও উন্নত দেশগুলোর অর্থনীতি কিছুটা গতি পাওয়ায় ২০১৬ সালের বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি আগের বছরের ২ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ২ দশমিক ৯ শতাংশ হতে পারে বলে বিশ্ব ব্যাংক আভাস দিয়েছে।