খোলা বাজার২৪,বৃহস্পতিবার, ৭ জানুয়ারি ২০১৬: সারা বিশ্ব সেলিব্রেট করবে ভালোবাসার দিন। প্রেমিক-প্রেমিকারা একে অন্যকে ভরিয়ে দেবেন উপহারে। আর সে উপহার যদি কিডনি হয়? হ্যাঁ, প্রেমিককে বাঁচাতে এই উপহারই ধার্য করে রেখেছেন এক প্রেমিকা। ৪৯ বছর বয়সী জ্যাক সিমার্ডকে কিডনি উপহার দিয়েই প্রেমের দিন সেলিব্রেট করবেন তাঁর প্রেমিকা মাইকেল লাব্রাঞ্চ। প্রেম অতলান্ত। প্রেম কোনও কিছুরই পরোয়া করে না।
এমনকী প্রেমের জন্য জীবনে সবকিছু ছেড়ে দিতেও কসুর করেন না প্রেমিক প্রেমিকারা। বহু ব্যবহারে এসব কথা বোধহয় ক্লিশে। তবু কেউ কেউ প্রমাণ করে দেন, প্রেমের এইসব কথা কোনওদিনই বিবর্ণ হয় না। যেমন এঁরা দু’জন। ৪৯ বছর বয়সে হ্যামসফায়ারের বাসিন্দা এই ব্যক্তির দ্বিতীয়বার কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট হচ্ছে। দিন ঠিক হয়েছে ১৪ ফেব্র“য়ারি। আর প্রেমের দিনে, তাঁকে কিডনি দিচ্ছেন অন্য কেউ নন, তাঁর প্রেমিকাই। তবে কিডনি চাইলেই তো আর দেওয়া যায় না। চিকিৎসকরা নানা বিষয় খতিয়ে দেখে তবেই এ অনুমতি দেন। এক্ষেত্রে চিকিৎসকরাও অবাক হয়ে গিয়েছেন। আশ্চর্য হয়ে দেখেছেন যে, সমস্ত শর্ত পূরণ হয়েছে। ‘পারফেক্ট ম্যাচ’ কথাটা যে শুধুই কথার কথা নয়, তাও যেন আর একবার দেখা গেল। ১৯ বছর বয়সে সিমার্ডের প্রথমবার কিডনি প্রতিস্থাপন হয়। তখন কিডনি দেন তাঁর বোন। দ্বিতীয়বার আবারও তার প্রয়োজন হলে, কিডনিদাতার খোঁজ শুরু করেন তিনি। মাইকেল তথন নিজেই টেস্ট করান। দেখেন তিনি প্রেমিককে কিডনি দিতে পারবেন কি না। ডাক্তারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া মাত্র সিদ্ধান্ত নেন, প্রেমিককে প্রেম দিবসের উপহার তিনিই দেবেন।
প্রেমদিবসে নিয়ে অনেক সমালোচনা চলে। শুধু একটা দিন কেন প্রেমের দিবস হিসেবে পালিত হবে, কেনই বা একটা দিন প্রেমের উপহার দেওয়া হবে তা নিয়ে হাজারো প্রশ্ন। কিন্তু এমন প্রেম আর আমন উপহার বোধহয় সব প্রশ্ন থামিয়ে দেয়। সব উত্ত্র গিয়ে মেশে গভীর প্রেমে। আধুনিক সভ্যতায় সেই প্রগাঢ় প্রেমেরই আর এক নমুনা তুলে ধরবেন সিমার্ড ও মাইকেল। – সূত্র : ওয়েবসাইট