খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ৮ জানুয়ারি ২০১৬: বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন হচ্ছে আজ যশোর শহরের প্রাণ কেন্দ্রে। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মালয়েশিয়া, রানার্সআপ বাংলাদেশ, নেপাল, বাহারাইন, মালদ্বীপ, কম্বোডিয়া, শ্রীলংকা এবং অনূর্ধ্ব-২৩ বাংলাদেশ ফুটবল দল এই টুর্নামেন্টের দুই গ্রুপে খেলছে। ২১ ভরি ওজনের সোনার ট্রফির লড়াইয়ে মাঠে নামতে ৬ বিদেশি দলসহ একসাথে ৮টি দল এখন প্রায় চারশ বছরের পুরোন এই শহরে অবস্থান করছে।
যশোরের ফুটবল ইতিহাসে এটা বিরল। এই শহর থেকে অনেক ফুটবলার জাতীয় দলে খেলেছেন। ঢাকার ক্লাব ফুটবলে মাঠ মাতিয়েছেন, যার সংখ্যা ভুরিভুরি। সংগঠকরা স্বপ্ন দেখতেন নিজেদের ঘরের আঙ্গিনায় আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্ট কবে হবে। যশোরে আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টের পর্দা ওঠার ইতিহাসটা আজ থেকে লেখা হবে। যশোরে চার দিন খেলা অনুষ্ঠানের পর টুর্নামেন্টের বাদবাকি খেলা হবে ১২ থেকে ২০ জানুয়ারী ঢাকায়।
ভঙ্গুর স্টেডিয়ামে সবাইকে জায়গা দেয়া সম্ভব নয় বলে যশোরের ফুটবল সংগঠকরা চ্যানেল নাইন টিভি চ্যানেলে দর্শকদের খেলা দেখতে অনুরোধ করেছেন। এই অঞ্চলের ফুটবল পাগল মানুষের মাঝে এখন তীব্র উত্তেজনা কাজ করছে। দেশি এবং বিদেশি সব কটি দলকে কঠোর নিরাপত্তা দিয়ে যশোরে এনেছে বাফুফে।
বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টের পোষ্টার ব্যানার বিমানবন্দর থেকে শুরু করে সারা শহরের রাস্তাঘাট ছেয়ে গেছে। দেশি বিদেশি খেলোয়াড়, কোচ, কর্মকর্তা, রেফারীদের ভিড়ে আবাসিক হোটেলগুলোতে এতটুকু জায়গা নেই। দর্শক টিকিটের জন্য হাহাকার করছে। আজ বিকালে পৌনে তিনটায় বাংলাদেশ-শ্রীলংকা উদ্বোধনী ম্যাচ। চারদিন এই সময় একটা করে ম্যাচ শুরু হবে। কারণ স্টেডিয়ামে নেই ফ্লাড লাইট। ছাড়া হয়েছে ৫০, ১০০, ২০০, ৩০০ টাকা দামের টিকিট। সব টিকিটই শেষ। উল্লেখ্য, শামস্ উল হুদা স্টেডিয়ামে দর্শক ধারণ ক্ষমতা মাত্র ১২ হাজার।
যশোরের ফুটবলে উন্নত অবকাঠামো নেই বললেই চলে। এত স্বল্প সময়ে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের আয়োজন আর হয়নি। কঠিন চ্যালেঞ্জ হাতে নিয়ে মাত্র এক সপ্তাহের আয়োজনে রংতুলি দিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে স্টেডিয়াম। সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ বললেন, “সব কিছু শতভাগ হবে সেটা আশা করাও ঠিক না। অনেক সমস্যা থাকবে। এত বড় একটা টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যে সময় লাগে আমরা সেটা পাইনি। চেষ্টা করেছি ঠিকঠাক মতো করার।”
প্রশাসন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পুরো স্টেডিয়ামে কয়েক স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। বিদেশি খেলোয়াড়দের সাথে দেয়া হয়েছে গানম্যান। খেলোয়াড়দের গাড়ির বহরের সঙ্গেও রয়েছে পুলিশ।