নীলা যখন রাগ করে, ঝগড়া করে, গাল ফুলিয়ে ধুম মেরে থাকে, আমিও এক-আধবার মাথা গরম করে ফেলি, সেদিন কুরুক্ষেত্র বেধে যায়। তখন যেন আরেক নীলা। এই নীলা অভিমান করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোন বন্ধ করে রাখে, দিনের পর দিন ফেসবুক থেকে সরে থাকতে পারে, মাসের পর মাস রাত জেগে ফোঁপাতে পারে, আর জীবনের পর জীবন ভালোবাসতে পারে। শুধু ভালোবাসতেই পারে।
মজার একটা নীলাও কিন্তু আছে। ভার্সিটির মাঠে ছেলেদের সঙ্গে ফুটবল খেলতে নেমে যায়, ঝুম বর্ষায়। সাঁতরে ঘোলা করে গ্রামের পুকুরের জল। রসায়নের অ্যাসাইনমেন্টের আগের রাতে অনন্ত জলিলের সিনেমা দেখে ক্লাসে জবুথবু হয়ে বসে থাকে। রাত দেড়টায় টিভির লাইভ অনুষ্ঠানে ফোন করে শিল্পীকে বলে, ভাই আপনি কে, আপনাকে তো জীবনে দেখিনি!
আমি খুব ভালো স্বপ্ন দেখতে পারি। একটা স্বপ্নে আমি নীলা নামের একটা মেয়েকে দেখি। লাল শাড়ি, কালো টিপ পরে বউ সেজে বসে আছে। আর একটাও গয়না নেই। আমাদের বিয়ে হচ্ছে, একটা ছোট্ট নদীর তীরে, প্রিয় সোনালি কাবিন। ওপরে একটা নীল আকাশ, নিচে সাদা কাশবন। আমরা দুজন বসে আছি। নীলা আমার বুকে মাথা গুঁজে আছে। নদীর ঢেউ ভাঙছে, আর একটা চাপা পরিণয়।এই
