খোলা বাজার২৪,শনিবার,৯ জানুয়ারি ২০১৬: রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের (বি আইসিসি) পশ্চিম পাশে শুরু হয়েছে ২১ তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য। মেলার সামনে রয়েছে পার্কিং করার নির্দিষ্ট স্থান। এখানে মেলায় আগত দর্শনার্থীরা গাড়ি পার্কিং করবেন। সেই হিসাবে মেলার ইজারাদার প্রতিষ্ঠান স্বাভাবিক নিয়মে তাদের কাছ থেকে গাড়ি প্রতি চার্জ রাখবেন। কিন্তু শনিবার সরেজমিনে মেলার সামনে গিয়ে দেখা যায় এর ভিন্ন চিত্র। মেলার সামনে সড়কটি জনসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত থাকলেও ইজারাদার কর্তৃপক্ষের লোকজন অসাধু উপায়ে মেলার সামনে দিয়ে চলাচল রত গাড়ি গুলো থেকেও গণহারে চাঁদা আদায় করছেন।
এই সড়ক ধরে নির্বাচন কমিশন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শিশু হাসপাতালে দ্রুত সময়ের মধ্যে পৌঁছানো যায়। অথচ মেলা উপলক্ষে এই জনসাধারণের সড়কে সিএনজি চালিত অটোরিকশা থেকে ২০ টাকা ও প্রাইভেট কার থেকে ৩০ টাকা সড়ক পার হতে নেওয়া হচ্ছে।
শনিবার দুপুরে ওই রাস্তা ধরে একরাম হোসেন তার সিএনজি চালিত অটোরিকশা নিয়ে মহাখালী থেকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ যেতে চাইলে তার কাছ থেকে ২০ টাকা দাবি করা হয়। মেলায় প্রবশে না করে জনসাধারণের সড়ক ব্যবহার করে ২০ টাকা দিতে নারাজ সিএনজি চালন শফিকুল।এতে করে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সামনে তর্কে জড়িয়ে পড়েন একরাম হোসেন ও মেলার ইজারাদাররা।
অন্যদিকে রশিদ না দিয়ে কেবল টোকেন ধরিয়ে দিয়ে চাঁদা আদায় করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে অটোরিকশা এবং প্রাইভেট কার চালকরা। চাঁদা আদায়ের দায়িত্বে থাকা রবিউল ইসলাম বলেন, মেলার জন্য এক মাস রাস্তাও ইজারা নেওয়া হয়েছে। সিএনজি চালিত অটো রিকশার জন্য ১০ টাকা ও প্রাইভেট কারের জন্য ২০ টাকা পার্কিং খরচ নেওয়া হচ্ছে।মেলা চলা কালিন সময়ে রাস্তার ব্যবহার করলেই পার্কিং খরচ দিতে হবে।
প্রতিটি মোটরসাইকেলের পার্কিংয়ের জন্য বেঁধে দেওয়া সময় তিন ঘণ্টায় ১০ টাকা হলেও নেওয়া হচ্ছে ২০ টাকা ।সিএনজি চালিত অটো রিকশার ১০ টাকা বেঁধে দেওয়া হলেও নেওয়া হচ্ছে২০ টাকা। আর ৩ ঘণ্টার ১ মিনিট পরে এলেই দিতে হচ্ছে দ্বিগুন পার্কিং খরচ।
নামেই আন্তরজাতিক ব্যণিজ্যমেলা, মেলায় নতুন সাতটিসহ ২১টি দেশ অংশ নেওয়ার কথা । কিন্তু এখন পর্যহন্ত নেপাল, ভারত, পাকিস্তান, ইরান, থাইল্যান্ড, হংকং, আরব আমিরাত চাড়া তেমন কোন দেশ স্টল অংশগ্রহন করেনি।
এসব বিষয়ে মেলার সদস্য সচিব রেজাউল করিম জানান, আমাদের কাছে পার্কিং এর বিষয়ে অভিযোগ এসেছে আমরা ইজারদারদের সাথে কথা বলবো । আশাকরি এ সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে।আর বিদেশী স্টল গুলো ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে চালু হবে।
মেলা সচিবালয় সূত্রে জানা যায়, ১৩ ক্যাটাগরিতে মোট ৫৫৩টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৬০টি প্রিমিয়ার, ১০ জেনারেল, ৩টি রিজার্ভ ও ৩৮টি ফরেন প্যাভিলিয়ন। এছাড়া ৩৬টি প্রিমিয়ার মিনি প্যাভিলিয়ন, ১৩টি জেনারেল মিনি প্যাভিলিয়ন, ৬টি রিজার্ভ মিনি প্যাভিলিয়ন, ২৫টি ফুডস্টল ও ৫টি রেস্টুরেন্ট রয়েছে এবারের বাণিজ্যমেলায়।