Thu. May 8th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

14খোলা বাজার২৪, সোমবার, ১১ জানুয়ারি ২০১৬ :না হয় বার্সেলোনার জার্সিতে গেল বছর ৫১ ম্যাচে ৩৯ গোল তাঁর। সঙ্গে ব্রাজিলের হয়ে ৯ ম্যাচে আরো চার লক্ষ্যভেদ। তবু কি ২০১৫ সালের ফিফা ব্যালন ডি’অর জিতবেন নেইমার? সম্ভাবনা বড্ড ক্ষীণ, বড়জোর বাজির ‘কালো ঘোড়া’র মতো।
ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর সম্ভাবনা তো আরো কম; প্রায় ‘খোঁড়া ঘোড়া’র মতো। হলোই-বা তাঁর গত বছর রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ৫২ ম্যাচে ৫৪ গোলের অবিশ্বাস্য রেকর্ড। থাকলেনই-বা এই পর্তুগিজ যুবরাজই আগের দুইবার ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের রাজাধিরাজ। তবু এবার তাঁর ‘হ্যাটট্রিক’-এর সম্ভাবনা? সেটি পর্তুগালের বিশ্বকাপ জয়ের মতোই। অসম্ভব না, আবার ঠিক যেন সম্ভবও না।
হারাধনের তিনটি ছেলের মধ্যে রইলেন বাকি লিওনেল মেসি। ২০১৫ সালের বার্সেলোনার পাঁচ-পাঁচটি শিরোপা জয়ের মূল রূপকার। ৫৭ ম্যাচে ৫৮ গোলের রেকর্ডই বলছে সে কথা। সঙ্গে আর্জেন্টিনাকে তুলেছেন কোপা আমেরিকার ফাইনালে। এত সব কীর্তিতে আলোকিত যিনি, বিশ্বের সেরা ফুটবলারের মুকুট তাঁর পুনরুদ্ধার করা তো কেবলই সময়ের ব্যাপার!
বাংলাদেশ সময় আজ রাতে অনুষ্ঠেয় ফিফা ব্যালন ডি’অর মেসির না জেতা হবে তাই পরম বিস্ময়কর!
সমকালীন শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে মেসি-রোনালদোর টক্কর নতুন কিছু না। অর্ধযুগের বেশি সময় ধরেই বিশ্ব ফুটবল এর সাক্ষী। ২০০৮ সালে ওই দ্বৈরথের প্রথম পর্বে বিজয়ী রোনালদো। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে অসাধারণ এক মৌসুমের স্বীকৃতিতে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়ের সিংহাসনে আরোহণ করেন প্রথমবারের মতো। তেতে ওঠা মেসি সেই রাজত্ব দখলে সময় নেননি এতটুকুন। পরেরবারই বর্ষসেরার মুকুট আর্জেন্টাইন খুদে জাদুকরের। সেই যে জিতলেন, টানা চারবার আর হাতছাড়া করেননি। ২০১৩ সালে এসে রোনালদো পুনরুদ্ধার করেন ফিফা ব্যালন ডি’অর; পরেরবারও ধরে রাখেন তা। এবার সময় এসেছে মেসির তা পুনরুদ্ধারের। জুরিখের পুরস্কার-মঞ্চের আলো জ্বলে ওঠার আগের যা আবহ, তাতে সেটিকে মনে হচ্ছে কেবলই আনুষ্ঠানিকতা।
আর শুধু যে সেরা খেলোয়াড়ের শীর্ষ তিনে রয়েছেন এই আর্জেন্টাইন জাদুকর, তা না। বছরের সেরা তিন গোলের সংক্ষিপ্ত তালিকায়ও আছে তাঁর নাম।
জুরিখে তাই হয়তো আরেকটি মেসিময় রাতই অপেক্ষা করে আছে! এএফপি